সারাদেশ

আগাম প্রস্তুত থাকলে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা কঠিন হবে না: প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট: আগাম প্রস্তুত থাকলে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা কঠিন হবে না: প্রধানমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের আগাম প্রস্তুত থাকলে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা কঠিন হবে না, আমি সেটাই বিশ্বাস করি। 

রোববার (২১ জানুয়ারি) সকালে পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে (বিবিসিএফইসি) ঐতিহ্যবাহী এ মেলার উদ্বোধনে তিনি একথা বলেন। 

তিনি বলেন, আমাদের এখন ৪টা পোর্ট আছে। যেখানে আমরা ভালোভাবে পণ্য রফতানি করতে পারি। স্থলবন্দরগুলিও চালু করেছি একে একে। যেগুলো ৬৫ সালে বন্ধ হয়েছিল। সেগুলো আমরা চালু করেছি। বাণিজ্য ব্যবসা একটা লক্ষ্মী। 

তিনি বলেন, আমার কাছে ক্ষমতা হলো দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করা। বাংলাদেশের মানুষের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আপনারা আমাকে টানা চার বার নির্বাচিত করেছেন। আমার কাছে ক্ষমতা হলো দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করা। মানুষের কল্যাণে কাজ করার সুযোগ, মানুষের সেবার করার সুযোগ আবার আমি পেয়েছি।

বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর অদূরে পূর্বাচলে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (২১ জানুয়ারি) সকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন সরকারপ্রধান।

জানা গেছে, উদ্বোধনের পর থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে মেলা। এবারের মেলায় প্রতিবেশী ভারত ছাড়াও সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, কোরিয়াসহ কয়েকটি দেশের বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। পাশাপাশি গতবারের মতো এবারও মেলায় যাতায়াতের সুবিধায় শাটল বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা থাকবে। কুড়িল বিশ্ব রোড থেকে এক্সিবিশন সেন্টার পর্যন্ত বিআরটিসি বাস চলাচল করবে। তবে সাপ্তাহিক বন্ধের দিনে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলবে।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৫ সাল থেকে বছরের প্রথম দিন থেকেই বসে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। কিন্তু এবার কিছুটা ব্যতিক্রম, ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণে পেছানো হয়েছে মেলার ২৮তম আসর।

;

বিএটিবি’র ‘ব্যাটেল অব মাইন্ডস’ প্রতারণা চলছেই

বিএটিবি’র ব্যাটেল অব মাইন্ডস প্রতারণা চলছেই

বহুজাতিক তামাক কোম্পানি ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবি) দুই দশক ধরে দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করে যাচ্ছে। চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মেধা যাচাইয়ের নামে নিজেদের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে তামাক পণ্য বিক্রির প্রতিষ্ঠানটি।

জানা গেছে, কৌশলে নিজেদের প্রচারণা চালাতে প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাই প্রতিযোগিতার (ব্যাটেল অব মাইন্ডস) আয়োজন করে ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবি)।

ব্যাটেল অব মাইন্ডস প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণকারী একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার আগে তাদেরকে আশ্বস্ত করা হয়, যাদের দল চ্যাম্পিয়ন হবে তাদেরকে বিএটিবিতে সরাসরি চাকরি দেওয়া হবে। তবে অধিকাংশ অংশগ্রহণকারীর পড়ালেখা শেষ না হওয়ার কারণে তাৎক্ষণিক চাকরিতে যোগদানের সুযোগ পান না। আর এটাই বিএটিবির কৌশল। যখন চ্যাম্পিয়ন দলের শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা শেষ করে বিএটিবির সঙ্গে যোগাযোগ করেন, তখন পূর্বের দেওয়া প্রতিশ্রুতি থেকে সরে যায় বিএটিবি। বলা হয়, সার্কুলার হলে সবার সঙ্গে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে চাকরি পেতে হবে। একটি চ্যাম্পিয়ন দলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিলেও অন্য দশ প্রার্থীর চোখেই দেখা হয় তাদেরকে। করা হয় না মূল্যায়ন। দেওয়া হয় না প্রতিশ্রুত অগ্রাধিকার। অথচ চাম্পিয়ন দলকে সরাসরি ”বিএটিবিতে যোগদানের সুযোগ দেওয়া হয়” এটাকে বিভিন্ন স্থানে নিজেদের প্রচারের কৌশল হিসেবে ব্যবহার করে তামাকজাত পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটি।  

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন চাকরি প্রার্থী এ প্রতিবেদককে বলেন, বিএটিবি কখনো কোন প্রতিযোগী বা চ্যাম্পিয়নকে চাকরি দেয় না। তারা ব্যাটেল অব মাইন্ডস প্রতিযোগিতার আয়োজন করে নিজেদের প্রচারণার জন্য। আর সিএসআরের অর্থ নয়ছয় করার জন্য।

এদিকে বিএটিবির কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সিএসআরের অর্থ নয়ছয় করার অভিযোগ নতুন না। তারা বিভিন্ন ভাবে কোম্পানি অর্থ লুটপাট করছে। ২০২২ সালের শেষের দিকে ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো বাংলাদেশের (বিএটিবি) কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচির (সিএসআর) ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ের বিষয়ে আপত্তি তুলে কোম্পানির অডিট বিভাগ। এই অর্থ খরচের বিষয়ে জানতে চাইলে অডিট বিভাগের কাছে কোন জবাব দিতে পারেনি কোম্পানির এমডি শেহজাদ মুনিম। পরবর্তীতে এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স প্রধান শেখ শাবাব আহমেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি অডিট বিভাগে জানিয়েছেন বিষয়টি ঊর্ধ্বতন সবাই অবগত। এ ঘটনার পরই চাকরিচ্যুত করা হয় শেখ শাবাব ছাড়াও লিগ্যাল অ্যান্ড অ্যাক্সটারনাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান মুবিনা আসাফ, বিজনেস কমিউনিকেশন ম্যানেজার ফুয়াদ বিন সাজ্জাদ। একই ঘটনায় পরবর্তীতে চাকরি ছাড়েন কমিউনিকেশন বিভাগের ফয়েজ আলী। গত ৫-৬ বছর ধরে এই অর্থ নয়ছয় করা হয়েছে। প্রাথমিক হিসাবে ২০০ কোটি টাকা বলা হলে অর্থের পরিমাণ আরও বেশি ছিল। 

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে বিজ্ঞাপনের বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করায় সরাসরি সিগারেটের বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারে না বিএটিবি। তারপরও সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে নানা রকম কূট কৌশলে নিজেদের প্রচার করে আসছে। এসব কৌশলের অংশ হিসেবে তারা হাতে নিয়েছে অভিনব ‘ব্যাটেল অব মাইন্ডস’ ফর্মুলা। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে কোম্পানিটির লোভনীয় ফাঁদে পা দিচ্ছেন প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীরাও।

এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য বিএটিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহজাদ মুনিম ও কোম্পানি সচিব আজিজুর রহমানের সঙ্গে বেশ কয়েকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তারা কথা বলত রাজি হননি।

;

আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা

ছবি: সংগৃহীত

বায়ুদূষণে বিশ্বের প্রথম স্থানে আবারও ঢাকার নাম। দিন দিন এ শহরের বাতাস বাসিন্দাদের জন্য ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে। আজও ঢাকার বাতাস ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ রয়েছে। ঢাকার স্কোর ৩০৪।

রোববার (২১ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) জানিয়েছে। 

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে ভারতের শহর কলকতা রয়েছে, যার স্কোর ২৬৩। এছাড়াও একিউআই স্কোর ২১৩ নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকাতে তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের শহর করাচি, চতুর্থ স্থানে আবার ভারতের দিল্লি রয়েছে, যার স্কোর ১৮১। পঞ্চম স্থানে রয়েছে ১৭৮ স্কোর নিয়ে পাকিস্তানের লাহোর।

একিউআই জানায়, বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

এদিকে নির্মল বাতাসের সবশেষ তালিকাতে রয়েছে জাপানের কোবে, কোয়েটো এবং ওসাকা। যার স্কোর যথাক্রমে ৪. ৪ ও ৪। এরপর রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরেক প্রদেশ সান ফ্রান্সিসকো। যার স্কোর ৬।

;

তীব্র শীতে জয়পুরহাটের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২ দিন বন্ধ

ছবি: বার্তা২৪.কম

জয়পুরহাটে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যাওয়ায় জেলার সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২ দিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।  

রোববার (২১ জানুয়ারি) ও আগামীকাল সোমবার (২২ জানুয়ারি) সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

এর আগে গতকাল শনিবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যাওয়ার শঙ্কায় ২১ ও ২২ (রোববার ও সোমবার) জানুয়ারি রাজশাহীর মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষা দফতর।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে এলে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (বিদ্যালয়-২) মোহাম্মদ কবির উদ্দীন স্বাক্ষরিত আদেশে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।

এতে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন জেলায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে। চলমান এ শৈত্যপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে যেসব জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যাবে, আঞ্চলিক উপ-পরিচালকরা ওইসব জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শীতের তীব্রতা ও স্থানীয় বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিতে পারবেন।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *