সারাদেশ

এক বছরে ডাকাতির মামলায় গ্রেফতার ৬৩৪

ডেস্ক রিপোর্ট: আওয়ামী লীগ কর্মীদের আত্মত্যাগেই বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত ও রক্ষা পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। 

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রামের লালদিঘি ময়দানে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গণহত্যার শিকার হওয়া ২৪ জন শহীদের স্মৃতি স্মরণে কাউন্সিলরদের নিয়ে ফুলেল শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

এসময় তিনি বলেন, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে ১৯৮৮ সালে ২৪ জন আওয়ামী লীগ কর্মী নিজেদের তাজা প্রাণ বিলিয়ে দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে হত্যার ষড়যন্ত্র থেকে নস্যাৎ করে দেয়। আমি সেদিন প্রাণ হারানো প্রতিটি রাজনৈতিক সহকর্মীর আত্মত্যাগের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।

‌‘আজকে আবারো বিদেশি অপশক্তির উসকানিতে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করতে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র ঐক্যবদ্ধভাবে ষড়যন্ত্র করছে। ষড়যন্ত্রকারীদের হুঁশিয়ার করে বলছি. আওয়ামী লীগ কর্মীদের আত্মত্যাগেই বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত। আওয়ামী লীগ কর্মীরা প্রয়োজনে আরো রক্ত দেবে গণতন্ত্র রক্ষায় কিন্তু বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে দিবে না।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, কাউন্সিলর চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনি, নাজমুল হক ডিউক, আবদুস সালাম মাসুম, পুলক খাস্তগীর, আবদুস সালাম মাসুম, চসিকের উপ-সচিব আশেকে রসুল টিপুসহ চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।

১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি বিকালে লালদিঘি ময়দানে সমাবেশের আয়োজন করে মহানগর আওয়ামী লীগ। সমাবেশে যাওয়ার পথে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনের সামনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহর লক্ষ্য করে গুলি করে পুলিশ। শেখ হাসিনাকে রক্ষা করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে মারা যান ২৪ জন নেতাকর্মী। নিহতরা হলেন-সাজ্জাদ হোসেন, আব্দুল মান্নান, সবুজ হোসেন, মো. হাসান মুরাদ, মহিউদ্দিন শামীম, স্বপন কুমার বিশ্বাস, এথেলবার্ট গোমেজ কিশোর, স্বপন চৌধুরী, অজিত সরকার, রমেশ বৈদ্য, বদরুল আলম, ডি কে চৌধুরী, কামাল হোসেন, বি কে দাশ, পঙ্কজ বৈদ্য, বাহার উদ্দিন, চান্দ মিয়া, সমর দত্ত, হাসেম মিয়া, মো. কাসেম, পলাশ দত্ত, আব্দুল কুদ্দুস, গোবিন্দ দাশ ও শাহাদাত।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *