সারাদেশ

নেপালকে হারিয়ে বাংলাদেশের শুভসূচনা

ডেস্ক রিপোর্ট: নেপালকে হারিয়ে বাংলাদেশের শুভসূচনা

ছবি: সংগৃহীত

সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে মাঠে নেমেছে বাংলাদশের মেয়েরা। গত আসরের ফাইনালে যাদের হারিয়েছিল বাংলাদেশ, সেই নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই শুরু হয়েছে এবারের আসর। গত বছরের দাপট ধরে রেখে এবারও নেপালকে হারিয়ে দিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ৩-১ গোলের জয়ে শুরু হয়েছে তাদের সাফ মিশন।

আজ শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধেই বাংলাদেশ দুই গোলের লিড পেয়ে যায়। তবে ফিনিশিংয়ে আরেকটু সচেতন হলে ব্যবধান বাড়তে পারত।

ম্যাচের শুরুর দিকে গোলের বেশ কয়েকটি সহজ সুযোগ হাতছাড়া করা বাংলাদেশ প্রথম নেপালের রক্ষণদুর্গ ভেদ করে ৩৯ মিনিটে। সাগরিকার গোলে ম্যাচে প্রথম প্রাণসঞ্চার করে বাংলাদেশ।

প্রথম গোলের মতো দ্বিতীয় গোলের অপেক্ষা অবশ্য বেশি দীর্ঘ হয়নি। তিন মিনিট পরই ইতি খাতুনের ক্রস ধরে মুনকি আক্তার গোলকিপারের ওপর দিয়ে দারুণভাবে জালে পাঠিয়ে দেন বল।

বিস্তারিত আসছে…

ব্যান্ড পার্টি নিয়ে হকির দলবদলে মেরিনার্স

ছবি: সংগৃহীত

প্রিমিয়ার হকি লিগের দলবদল কার্যক্রমে রীতিমতো আয়োজন করেই অংশ নিল চ্যাম্পিয়ন মেরিনার ইয়াংস। যদিও দলবদল পেছাতে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনকে চিঠিও দেয় রাজধানীর আরামবাগের দলটি। কিন্তু হকি ফেডারেশন তাতে সাড়া দেয়নি। এ কারণেই চলতে থাকে ৩১ ডিসেম্বর শুরু হওয়া দলবদল। শুক্রবার ছুটির দিনে হকি ফেডারেশনে এসে দলবদলের আনুষ্ঠানিকতা সারে মেরিনার্স।

ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক হাসান উল্লাহ খান পুরো দল বদল কার্যক্রম নিয়ে বলেন, ‘দেখুন আমরা আসলেই খুব সংকটের মধ্যে ছিলাম। বুধবার পরিস্থিতি সামাল দিতে জরুরি সভা করেছি। ক্লাবের কর্মকর্তারা ব্যক্তিগতভাবে ও বন্ধুবান্ধবদের কাছ থেকে পাওয়া আর্থিক নিশ্চয়তার ভিত্তিতে দল গঠন করা হয়েছে। এমনিতে সংকট থাকলেও দলবদলে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিকের ৮০-৯০ ভাগ দিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

স্পন্সরের আশ্বাস পাওয়ায় মেরিনার্স দলবদল সারল রীতিমতো ব্যান্ড পার্টি নিয়ে। ক্লাবটির খেলোয়াড়-কর্মকর্তা ও সমর্থককরা মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে প্রাণ ফিরিয়ে আনলেন ছুটির দিনের বিকেলে।

এবার মেরিনার্সে জাতীয় দলের চার খেলোয়াড় রয়েছেন। তাদের মধ্যে আছেন গত লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা সোহানুর রহমান। জাতীয় দলের মিলন হোসেন, আবু সাঈদ, সাইজুদ্দিনও মেরিনার্সে রয়েছেন। খোরশেদুর রহমান ও ফজলে রাব্বিও আছেন আরামবাগের এই দলে। মেরিনার্সের কোচ মামুন উর রশিদ এবারও থাকছেন দায়িত্বে। মেরিনার্সের অধিনায়ক মামুনুর রহমান চয়ন দল ছাড়েননি। তবে চোটের কারণে এ মৌসুমে খেলবেন না, মেরিনার্সের সহকারী কোচের ভূমিকায় দেখা যাবে তাকে।

সব ঠিক থাকলে মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে শনিবার থেকে অনুশীলন শুরু করবে মেরিনার্স। এছাড়া আরামবাগ আবাসিক এলাকায় ক্লাব ভবনে চলবে ক্যাম্প।

;

ব্যাটিং বিপর্যয়ে ৭২ রানে শেষ চট্টগ্রাম

ছবি: সংগৃহীত

দুঃস্বপ্ন!

এই একটা শব্দ দিয়েই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ব্যাটিংয়ের হাল বর্ণনা করা যায়। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা চট্টগ্রাম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এক মুহূর্তের জন্যও ছন্দ খুঁজে পায়নি। দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন কেবল দুই ব্যাটার। ব্যাটিংয়ের এমন অবস্থা নিয়ে তো আর বড় স্কোর গড়া যায় না, চট্টগ্রামও পারেনি। ১৬.৩ ওভারে ৭২ রানেই থেমেছে তাদের ইনিংস।

ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই চট্টগ্রামের ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমকে রানের খাতা খোলার আগেই ক্যাচ তাওহিদ হৃদয়ের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান উইন্ডিজ পেসার রেমন রেইফার।

চট্টগ্রামের ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার সে যে শুরু, তা শেষ হয়েছে ১৭তম ওভারের তৃতীয় বলে দলটির ১১ নম্বর ব্যাটার বিলাল খানের রানআউট হওয়ার মধ্য দিয়ে।

শুরুর দিকে অবশ্য কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দলটির উইকেটরক্ষক-ব্যাটার তম ব্রুস। ২০ বলে ৪ চারে ২৭ রান আসে তার ব্যাটে। তবে তানভির ইসলামের বলে ব্রুস লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ার আর কেউ দলকে টেনে তোলার সম্ভাবনাও জাগাতে পারেননি।

তিনে নামা ব্রুসের পর আরও ৮ ব্যাটার এসেছেন ক্রিজে, তাদের মধ্যে দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পেরেছেন শুধু একজন – আফগান ব্যাটার নাজিবউল্লাহ জাদরান (১১)।

১৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে চট্টগ্রামের যম হিসেবে আবির্ভূত হন স্পিনার তানভির ইসলাম। দুই উইকেট পান আরেক স্পিনার আলিস ইসলাম।

;

আবাহনীর জয়, টানা ষষ্ঠ ড্র রহমতগঞ্জের

ছবি: সংগৃহীত

বসুন্ধরা কিংসের কাছে হারের দুঃখ ভুলে জয়ে ফিরেছে ঢাকা আবাহনী। অন্যদিকে শেখ রাসেলের বিপক্ষে গোলশুন্য ড্রয়ের মধ্য দিয়ে লিগে টানা ষষ্ঠ ম্যাচে পয়েন্ট ভাগাভাগি করল পুরান ঢাকার ক্লাব রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি।

ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে আজ শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ এফসির বিপক্ষে শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলে আবাহনী। ১২ মিনিটেই জনাথন ফার্নান্দেজের গোলে সে দাপটে  পুরস্কারও বুঝে পায় তারা। বিরতির পর হৃদয়ের গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে তারা। 

তবে ৬৪ মিনিটে আত্মঘাতী গোল হজম করায় সে ব্যবধান ধরে রাখতে পারেনি আবাহনী। তবে এক গোলের লিড ম্যাচের শেষ বাঁশি পর্যন্ত অক্ষুণ্ণ রেখে ২-১ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নেয় তারা। এই জয়ে ৬ ম্যাচ থেকে ১০ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের বসুন্ধরা এবং মোহামেডানের পরই এখন আকাশি-হলুদদের নাম।

দিনের অন্য ম্যাচে শুরু থেকে রহমতগঞ্জের ওপর ছড়ি ঘোরালেও তিন পয়েন্ট আদায়ে ব্যর্থ হয়েছে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র। একগাদা সুযোগ পেয়েও কাজে না লাগাতে পারার মাশুল দিয়েছে তারা। রহমতগঞ্জও একইভাবে শেখ রাসেলের গোলমুখ উন্মুক্ত করতে অসমর্থ হয়। যার ফলে গোলশুন্য সমতায় শেষ হয় ম্যাচ।

চলতি লিগ মৌসুমে এখন পর্যন্ত এ নিয়ে ছয় ম্যাচ খেলে সবগুলো ড্র করেছে রহমতগঞ্জ। এর আগে আবাহনীর সঙ্গে ১-১, ব্রাদার্স ইউনিয়নের সঙ্গে ২-২, চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে ১-১, ফর্টিসের সঙ্গে ২-২, পুলিশ এফসির সঙ্গে ০-০ ড্র করেছিল রহমতগঞ্জ।

;

মাশরাফি যেতেই ভাগ্য ফিরল সিলেটের

ছবি: সংগৃহীত

মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার নেতৃত্বে টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে ধুঁকছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। তবে মাশরাফি রাজনৈতিক ব্যস্ততায় বিরতি নেয়ার পরপরই খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়াল দলটি। অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের নায়কোচিত ব্যাটিং পারফরম্যান্সে আসরে নিজেদের প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে তারা। দুর্দান্ত ঢাকাকে ১৫ রানে হারিয়ে ষষ্ঠ ম্যাচে এসে জয়ের খাতা খুলেছে চায়ের দেশের এই দল।

নেতৃত্ব পেয়েই প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে দলকে জয়ের ভিত এনে দিয়েছিলেন মিঠুন। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামা সিলেট যখন ১৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধসের শঙ্কায় ছিল। তখন ৪৬ বলে ৪ চার এবং ৩ ছক্কায় ৫৯ রানের ইনিংস খেলে দলকে ১৪২ রানের লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন।

জবাব দিতে নেমে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি দুর্দান্ত ঢাকা। রিচার্ড এনগারাভার আগুনে বোলিংয়ে এক শ’র কমেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছিল তাদের। ৩০ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ঢাকার ব্যাটিংয়ে ধস নামান এই জিম্বাবুইয়ান পেসার।

ঢাকার টপ বা মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা একেবারেই দায়িত্ব নিয়ে খেলতে না পারেননি। তবে শেষদিকে তাসকিন আহমেদের দলীয় সর্বোচ্চ ১১ বলে ২৭ রানের ইনিংসে হারের ব্যবধান কিছুটা কমেছে।

তাতে অবশ্য সান্ত্বনা খোঁজার সুযোগ নেই ঢাকার। সিলেটের কাছে হেরে যে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে নেমে যেতে হয়েছে তাদের। সিলেটের পয়েন্ট ঢাকার সমান ২ হলেও নেট রানরেটে এগিয়ে থাকার সুবাদে সিলেট উঠে গেছে ছয় নম্বরে। সিলেটের নেট রানরেট এখন -১.১৪৬, আর ঢাকার নেট রানরেট -১.৪৪২।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *