আন্তর্জাতিক

অবরুদ্ধের ৫ ঘন্টা পর মুক্ত এমসি কলেজের অধ্যক্ষ

ডেস্ক রিপোর্ট: সিলেটের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন বিদ্যাপীট মুরারি চাঁদ (এমসি) কলেজের ছাত্রাবাসে পানি ও ইতিহাস বিভাগে শিক্ষক সংকট নিরসনসহ তিন দফা দাবিতে প্রায় ৫ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর অবশেষে মুক্ত হয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ আবুল আনাম মো.রিয়াজসহ অন্যান্য শিক্ষকরা।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অধ্যক্ষের কার্যালয় তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এসময় তাদের সঙ্গে আরও কয়েকজন শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাও অবরুদ্ধ ছিলেন।

এ ঘটনার খবর পেয়ে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে ছুটে যান সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলামসহ স্থানীয় কাউন্সিলর। পরে তাদের মধ্যস্ততায় আন্দোলন রোববার পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম।

এদিকে, এমসি কলেজের শিক্ষর্থীদের দাবি হলো- কলেজের ইতিহাস বিভাগে মাত্র চারজন শিক্ষক ছিলেন। গত কয়েক মাস থেকে একজন শিক্ষকও নেই এ বিভাগে। এছাড়া ছাত্রাবাসে দীর্ঘদিন ধরে পানির সংকট। এসব সমস্যা সমাধানে অধ্যক্ষকে লিখিত আবেদন দেওয়া হলেও তিনি কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না। বৃহস্পতিবার এসব সমস্যা নিয়ে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন অধ্যক্ষ আবুল আনাম মো. রিয়াজ। বৈঠকে কোনো সমাধান হয়নি। এতে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করে রেখে আন্দোলন করেন।

বিকেল ৪টা থেকে শুরু হওয়া আন্দোলনে প্রায় ৫ ঘন্টা অধ্যক্ষের কার্যালয়ে অবরুদ্ধ ছিলেন অধ্যক্ষসহ আরও কয়েকজন শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। রাত সাড়ে ৮টার দিকে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সিলেট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা রুহেল আহমদ, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নাজমুল ইসলাম, এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা দিলোয়ার হোসেন রাহীসহ পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল।

প্রায় ৪০ মিনিটের বৈঠক শেষে আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করার জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের আহবান জানান অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল আনাম মো. রিয়াজ।

এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তোমাদের (আন্দোলনরত শিক্ষার্থী) সমস্যা মানে আমাদের সমস্যা। শিক্ষক সংকটের বিষয়টি আগামী এক সপ্তাহের ভেতরে সমাধান করা হবে। এছাড়া ছাত্রী নিবাসের নাম বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব নামকরণের বিষয়টি লিখিতভাবে আবেদন করতে হবে। এসময় বঙ্গবন্ধু হলের পানি বিষয়টি আগামী রোববারের ভেতর সমাধান হবে বলে জানান তিনি।

পরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে রোববার পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করা হয়।

এব্যাপারে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ইতিহাস বিভাগে শিক্ষক সংকট, হলের পানি সমস্যা নিরসনসহ বিভিন্ন দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে। খবর পেয়ে আমরা ক্যাম্পাসে যাই।পরে কলেজ প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছি। দ্রুত এ সংকট নিরসনে পদক্ষেপ নিতে প্রশাসন আমাদের আশ্বস্থ করেছেন।রোববার মধ্যে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র সঙ্গে আলাপ করে পানির সমস্যা সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *