সারাদেশ

ক্ষমতা হারানোর ভয়ে বেপরোয়া গ্রেফতার চলছে: রিজভী

ডেস্ক রিপোর্ট: ক্ষমতা হারানোর ভয়ে বেপরোয়া গ্রেফতার চলছে: রিজভী

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ক্ষমতা হারানোর ভয়ে দেশজুড়ে বেপরোয়া গ্রেফতার অব্যাহত রয়েছে। দেশের কারাগারগুলো এখন বিএনপি নেতাকর্মীতে ঠাসা। 

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, গত ১৭ ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছিলেন, ‌নির্বাচনে বাধা বিঘ্নতা দূর করতে বিএনপির ২০ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে জেলে রাখা হয়েছে। আমরা চিন্তা ভাবনা করেই এই কাজ করেছি। তাদেরকে জেলে না ভরলে দেশ অচল হয়ে যেত।

কারা সেলগুলো একেকটি শ্বাসরুদ্ধকর কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে পরিণত করা হয়েছে বলেও দাবি করেন রিজভী। তিনি বলেন, অতিমাত্রায় উৎসাহী কর্মকর্তারা গেস্টাপোদের ন্যায় মূর্তিমান আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। প্রতিটি কারাগারের ভেতরে কারাবিধির সমস্ত সুযোগ-সুবিধা কেড়ে নিয়ে বন্দি নেতাকর্মীদের ওপর চালাচ্ছে বীভৎস নিপীড়ন। খাওয়ার কষ্ট দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না।

গত তিন মাসে কারাগারে নির্যাতনের শিকার হয়ে বিএনপির ১৩ নেতার মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, প্রত্যেকটি মৃত্যু পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। বৃহস্পতিবার বিনা অপরাধে রংপুর কারাগারে বন্দি রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী মহিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলামকে নির্যাতন করে বিনা চিকিৎসায় হত্যা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মনোয়ারুলের বাবা ফজলে রহমান ও ছোট ভাই হারুনসহ স্বজনরা বলেছেন, ১৩ জানুয়ারি সুস্থ সবল মনোয়ারুলকে পুলিশ দিনের বেলায় বাসা থেকে তুলে থানায় নিয়ে যায়। এরপর সেইদিন আদালতে চালান না দিয়ে পরের দিন রাত পর্যন্ত থানায় আটকে রেখে বর্বরোচিত কায়দায় অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। তার সমস্ত শরীরে, পায়ে, পিঠে ও মাথায় আঘাতের গভীর চিহ্ন দেখা গেছে। পুলিশ নির্যাতন চালিয়ে মনোয়ারুলকে বিনা চিকিৎসায় হত্যা করেছে। মনোয়ারুলসহ কারা হেফাজতে মৃত্যুর প্রতিটি ঘটনার আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি করছি।

গত ২৪ ঘণ্টায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সারা দেশে বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের ১১ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে বলেও দাবি করেন রিজভী।

নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমাদের যে মাতামাতি, পাকিস্তানে তা নেই: কাদের

ছবি: বার্তা ২৪.কম

আমাদের দেশে নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব যেভাবে মাতামাতি করে, ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আসে সেভাবে পাকিস্তানে মাতামাতি নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সাংবাদিক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব বলেন।

তিনি বলেন, পাকিস্তানে গণতন্ত্র আর বাংলাদেশের গণতন্ত্র যোজন যোজন দূরের ব্যাপার। দুনিয়ার কোনো দেশে তত্ত্বাবধায়ক নেই। পাকিস্তান ধরে রেখেছে। আমাদের দেশে বিশেষ করে পশ্চিমা বিশ্ব যেভাবে মাতামাতি করে, ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আসে কিন্তু সেভাবে পাকিস্তানে মাতামাতি নেই। পাকিস্তানের নির্বাচনে সহিংসতা হয়েছে, ভোট কারচুপির খবর মিডিয়ায়ও চলে এসেছে। ৯ জন সহিংসতায় মারা গেছে। কাজেই আমরা গণতন্ত্রের যে ট্রু ফর্ম সেটা অনুসরণ করি। আমাদের দেশে ইলেকশন হয়েছে বিরোধী দল আসেনি। কিন্তু আমাদের নির্বাচন টা ফেয়ার হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দিনক্ষণ দিয়ে দুনিয়ার কোন দেশে আন্দোলন হয়েছে এমন কোন খবর আমাদের কাছে নেই। আন্দোলন হয় আন্দোলন হবার মত যখন বস্তুগত অবস্থান থাকে। যারা আন্দোলন করবে তাদের সাবজেক্টিভ প্রিপারেশন লাগবে। তাদের সাংগঠনিক প্রস্তুতি লাগবে। সে প্রস্তুতি আমাদের বিরোধী দল অর্জন করতে পারেনি। নির্বাচনে অংশ না নিয়ে যে ভুল বিএনপি করে সে ভুলের খেসারত আরও অনেক দিন দিতে হবে।

আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় কি নিয়ে কথা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইলেকশন ম্যানুফেস্টু বাস্তবায়নে আমাদের দলের সুদৃঢ় ঐক্য দরকার। গত নির্বাচনে নির্বাচন টা সুষ্ঠু হয়েছে। কৌশলগত কারণে স্বতন্ত্ররা নির্বাচন করেছে। ৬২ জন নির্বাচিত হয়েছে। এরা কিন্তু আওয়ামী লীগেরই লোক, অনেকে পদধারীও রয়েছে। এখানে নিজেদের মধ্যে ভুলবুঝাবুঝি হয়েছে, দলের অভ্যন্তরে যে অন্ত-কলহ, দ্বন্দ্ব এসব মিটিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদের উপজেলা নির্বাচন, মেয়র নির্বাচন আসবে এসব নির্বাচনে যেনো কোন প্রকার সংঘাত সৃষ্টি না হয় সে ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশনা আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ দিবেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।

;

এবার সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন ফরম কিনলেন মাহি

মাহিয়া মাহি

দ্বাদশ সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছেন অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি। তিনি রাজশাহী বিভাগের বুথ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।  

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ফরম সংগ্রহ করেছেন তিনি।

রাজশাহী বিভাগের বুথের দায়িত্বশীল এক নেতা তা নিশ্চিত করে জানান, মাহিয়া মাহির পক্ষে ফরম সংগ্রহ করেছেন তার প্রতিনিধি। তার ফরম নাম্বার ছিল ১৬৬২।

এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তার প্রতীক ছিল ট্রাক।

;

সীমান্ত উদারভাবে খুলে দেওয়ার সুযোগ নেই: ওবায়দুল কাদের

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

‘মিয়ানমার সীমান্তে শক্ত অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। সীমান্ত উদারভাবে খুলে দেওয়ার সুযোগ নেই’- বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। 

বিএনপি প্রথম রোহিঙ্গাদের আসতে দেয় এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিলো তখন তারাই প্রথম রোহিঙ্গাদের এদেশে আসার অনুমতি দিয়েছিল।তারা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় যে সুযোগ দিয়েছিলো, সেটা কি তারা ভুলে গেছে?

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টায় রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী যেটা করেছেন সেটা সারা পৃথিবী প্রশংসা করেছে এমনকি জাতিসংঘও। তখনকার বাস্তব অবস্থার প্রেক্ষিতে মানবিকতার জন্য সীমান্ত খুলে দিয়েছিলেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে জন্য তাকে মানবতার মা বলা হয়।

সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কিনেছেন ১৫৪৯ জন কাদের বলেন, বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে। আমেরিকা, ঋষি সুনাক একসাথে কাজ করার কথা বলেছে, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টও বার্তা দিয়েছিলেন এক সাথে কাজ করার। এখন তো তাদের সব আশাই শেষ। তারা ভেবেছিলেন বিদেশি বন্ধু তাদের পাশে এসে দাঁড়াবে। সে আশা একেবারেই শেষ হয়ে গেছে। আটলান্টিকের ওপার থেকেও কোন বার্তা আসেনি, আবার আমাদের এই অঞ্চল থেকেও কোন বার্তা আসেনি বা আসার কারণ ও নেই।

সরকার দুর্বল ও জনমত না থাকায় মিয়ানমারের বিপক্ষে কোন লিখিত প্রতিবাদ জানাতে পারেনি এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা পাগলের প্রলাপ বকছে। এদের মাথা ঠিক নেই। দেখে চারদিক থেকে প্রশংসা। শেখ হাসিনার সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। তারা বলছে, আরে এটা তো হবার কথা না, এটা কিভাবে হলো। আরও অনেক কিছুই হবে তারা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখবে। চেয়ে চেয়ে চোখের পানি ফেলবে।

মিয়ানমারে চলমান সংঘাতে ভারত কোন প্রভাব ফেলছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এর প্রভাব ভারতেও পড়েছে। ভারতীয় সীমান্ত দিয়েও মিয়ানমারের বেশ কিছু লোকের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। ওদের সীমান্ত রক্ষীও গেছে। ভারত যে মাথা ঘামাচ্ছে না, তা না। ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দেওয়ালও আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলাপ করে গেছেন। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতে আছেন। তিনি এরমধ্যেই ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর ও অজিত দেওয়ালের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলাপ-আলোচনা করেছেন। এই আলোচনার মধ্যে মিয়ানমারের ইস্যুটা গুরুত্ব পেয়েছে।

;

সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কিনেছেন ১৫৪৯ জন

ছবি: বার্তা২৪.কম

দ্বাদশ সংসদে সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশায় ফরম কিনেছেন এক হাজার ৫৪৯ জন প্রার্থী। এতে আয় হয়েছে ৭ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এবার দলটি ৪৮টি আসনে মনোনয়ন দিবে।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টায় রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে একথা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

এর আগে, মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) থেকে ফরম বিক্রির এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যা আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে। এদিন দলটি ২১৭টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে আয় করে এক কোটি ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

দ্বিতীয় দিন ৫২২টি ফরম বিক্রি করা হয়েছে। এ থেকে মোট আয় হয়েছে ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগ থেকে ১৬৭টি, ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে ৪৭টি, চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে ৭৮টি, সিলেট বিভাগ থেকে ২২টি, বরিশাল বিভাগ থেকে ৩৬টি, খুলনা বিভাগ থেকে ৬৮টি, রংপুর বিভাগ থেকে ৬০টি এবং রাজশাহী বিভাগ থেকে ৪৪টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে।

আর প্রথম দিন মোট ৮১০টি ফরম বিক্রি করেছিল ক্ষমতাসীন দলটি। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগ থেকে ২৭৫টি, ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে ৬২টি, চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে ১৪৯টি, সিলেট বিভাগ থেকে ২৬টি, বরিশাল বিভাগ থেকে ৫৬টি, খুলনা বিভাগ থেকে ৭৭টি, রংপুর বিভাগ থেকে ৭৫টি এবং রাজশাহী বিভাগ থেকে ৯০টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছিল।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *