সারাদেশ

৪ দফা দাবিতে জাবিতে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের জনসংযোগ অনুষ্ঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট: ৪ দফা দাবিতে জাবিতে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের জনসংযোগ অনুষ্ঠিত

ছবি: বার্তা২৪.কম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশ করছে ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক জোট’।

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সপোর্ট চত্ত্বরে ধ্বনির দপ্তর সম্পাদক ফাইজা মেহজাবিনের সঞ্চালনায় এ প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

অন্যদিকে নিপীড়ন বিরোধী জনসংযোগ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত ‘নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ’। গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এই জনসংযোগ কর্মসূচি পালন করা হয়।

নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের এই জনসংযোগ সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী আরিফ সোহেলের সঞ্চালনায় ৪টি দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হলো- ধর্ষক ও তার সহায়তাকারীদের সর্ব্বোচ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করে গণরুম বিলুপ্তপূর্বক নিয়মিত শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত করতে হবে, নিপীড়ক শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বিচার নিষ্পত্তি করা সহ ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময়ে নানাবিধ অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনতে হবে, নিপীড়কদের সহায়তাকারী প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্টের অপরাধ তদন্তপূর্বক তাদেরকে প্রশাসনিক পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করতে হবে।

জনসংযোগ সমাবেশে বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী আহসান লাবিব বলেন, বারবার দাবি জানিয়ে আসার পরে প্রশাসন হল থেকে অছাত্রদের বের করছেনা। বরং তাদের রাজার হালে থাকতে দিচ্ছে। পরবর্তীতে আন্দোলন জোরদার হলে তারা অছাত্রদের হল থেকে বের না করে কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই হল থেকে নন এলোটেড (অন্য হলে বরাদ্দকৃত) বের করে আই ওয়াশ দেওয়ার চেষ্টা করছে। এরকম ধোকা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পার পাবেনা। তারা যতক্ষণ পর্যন্ত ধর্ষকের বিচার থেকে শুরু করে হল থেকে অছাত্র বের করাসহ আমাদের দাবি মেনে না নেয় ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

সম্প্রতি ছিনতাইয়ের শিকার এক শিক্ষার্থী ইরা বলেন, আমরা দুই বান্ধবী মিলে পুরাতন রেজিস্টার বিল্ডিং এর দিকে যাই। সেখানে একজন আমাদের চাপাতি দেখিয়ে দুটি ফোন কেড়ে নেয়। সেদিন শুক্রবারের দোহাই দিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ দেখাতে চায়নি কেউ। প্রক্টরিয়াল বডিকে জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে আমি নিজ থেকে মামলা করি। আমার কথা হলো প্রক্টরিয়াল বডি তখন ব্যবস্থা নেয়নি কেনো এবং আমার সাথে ঘটে যাওয়া এরকম অসংখ্য ঘটনার বিরদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়া ও প্রশাসনের বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণেই ৩রা ফেব্রুয়ারির ধর্ষণের মত ঘটনা ঘটেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিভাগের অধ্যাপক এবং শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করতে সবাই মিলে একতাবদ্ধ হতে হবে। প্রয়োজনে আমরা আরও কঠোর আন্দোলন করব। হল থেকে এসব অছাত্র বের করে গণরুম মুক্ত ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। ক্যাম্পাসকে নিরাপদ করতে আমাদের এই আন্দোলন।

এছাড়াও এ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফন্ট এর সংগঠক সোহাগী সামিয়া, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের তৌহিদ সিয়াম, পরিবেশ বিজ্ঞান ৪৭তম ব্যাচের মাহফুজুল ইসলাম মেঘ, নাটক ও নাট্টতত্ত্ব বিভাগের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী কনোজ কান্তি রায়, ফার্মাসি বিভাগের শিক্ষক মাফরুহী সাত্তার, পরিবেশ বিজ্ঞানের শিক্ষক জামাল উদ্দিন রুনু, ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক লুৎফুল এলাহী প্রমুখ।

ইতিহাস চর্চার ধারা পরিবর্তন হচ্ছে: ড. আখতারুজ্জামান

ছবি: বার্তা২৪.কম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর: ইতিহাস, রাজনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতি’ শীর্ষক ৫১তম বার্ষিক ইতিহাস সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষ বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

উদ্বোধনী বক্তব্যে ড. আখতারুজ্জামান বলেন, ইতিহাসের কাজ হলো পটভূমির গুরুত্ব তুলে ধরা। বাঙালি জাতিসত্ত্বার সঙ্গে ৫২ থেকে ৭১ সালের ঘটনা প্রবাহ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বাঙালি জাতিসত্ত্বার পটভূমি হিসেবে এই ইতিহাস ভালোভাবে জানতে হবে। ইতিহাস চর্চার ধারা পরিবর্তন হচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, নতুন প্রজন্মের ইতিহাসবিদগণ বিদ্যমান নতুন ধারা সম্পর্কে জানতে এবং সে অনুযায়ী ইতিহাস চর্চায় মনোনিবেশ করবেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ নূরুল আলম বলেন, বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটেছে অভূতপূর্ব সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক বিপ্লবের মধ্য দিয়ে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালির আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক মুক্তির দিশায় উন্মুখ মানুষের অধিকার আদায়ের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন।

এছাড়া উপাচার্য তাঁর ভাষণে ৫৪ সালের নির্বাচন, ৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬ সালের ৬ দফা, ৬৯ সালে গণ-অভ্যুত্থান এবং ৭১ সালে বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের প্রকৃত ইতিহাস পাঠের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এসময় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইব্রাহিম। এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ইতিহাস বিভাগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির, স্বাগত বক্তব্য রাখন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. এমরান জাহান।

এছাড়া এ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষকগণ অংশগ্রহণ করেন।

;

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য হলেন পাঁচ শিক্ষক

ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে অবস্থিত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের পাঁচজন শিক্ষককে সিনেট সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ আইনের ধারা ১৮ (১)(ঝ) মোতাবেক রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমেদ স্বাক্ষরিত পত্রে বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. ফখরুল ইসলাম, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান মো. রিফাত-উর-রহমান, অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান শারমিন সুলতানা, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানভীর আহমেদ এবং অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বরুণ চন্দ্র রায়কে আগামী তিন বছরের জন্য সিনেট সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী পর্ষদ সিনেট। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট অনুমোদন, বিধিমালা সমূহের অনুমোদন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন পরিকল্পনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত ও অনুমোদিত হয় সিনেটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন প্রক্রিয়ার বিধিবদ্ধ সর্বোচ্চ এই পর্ষদে সদস্যগণ তিন বছর দায়িত্ব পালন করবেন।

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত সিনেট সদস্য ড. মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য হিসেবে আমাদের যে দায়িত্ব ও কর্তব্য তা যথাযথভাবে পালন করতে আমরা বদ্ধপরিকর। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিবদ্ধ পর্ষদগুলো সক্রিয় ভূমিকা পালন করলে প্রতিষ্ঠানে আইনের শাসন নিশ্চিত হয়। বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আজম সকল পর্ষদগুলোকে কার্যকর করার উদ্যোগ নিয়েছেন, এজন্য আমরা তাকে ধন্যবাদ জানাই।

;

অবরুদ্ধের ৫ ঘন্টা পর মুক্ত এমসি কলেজের অধ্যক্ষ

ছবি: বার্তা২৪.কম

সিলেটের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন বিদ্যাপীট মুরারি চাঁদ (এমসি) কলেজের ছাত্রাবাসে পানি ও ইতিহাস বিভাগে শিক্ষক সংকট নিরসনসহ তিন দফা দাবিতে প্রায় ৫ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর অবশেষে মুক্ত হয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ আবুল আনাম মো.রিয়াজসহ অন্যান্য শিক্ষকরা।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অধ্যক্ষের কার্যালয় তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এসময় তাদের সঙ্গে আরও কয়েকজন শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাও অবরুদ্ধ ছিলেন।

এ ঘটনার খবর পেয়ে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে ছুটে যান সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলামসহ স্থানীয় কাউন্সিলর। পরে তাদের মধ্যস্ততায় আন্দোলন রোববার পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম।

এদিকে, এমসি কলেজের শিক্ষর্থীদের দাবি হলো- কলেজের ইতিহাস বিভাগে মাত্র চারজন শিক্ষক ছিলেন। গত কয়েক মাস থেকে একজন শিক্ষকও নেই এ বিভাগে। এছাড়া ছাত্রাবাসে দীর্ঘদিন ধরে পানির সংকট। এসব সমস্যা সমাধানে অধ্যক্ষকে লিখিত আবেদন দেওয়া হলেও তিনি কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না। বৃহস্পতিবার এসব সমস্যা নিয়ে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন অধ্যক্ষ আবুল আনাম মো. রিয়াজ। বৈঠকে কোনো সমাধান হয়নি। এতে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করে রেখে আন্দোলন করেন।

বিকেল ৪টা থেকে শুরু হওয়া আন্দোলনে প্রায় ৫ ঘন্টা অধ্যক্ষের কার্যালয়ে অবরুদ্ধ ছিলেন অধ্যক্ষসহ আরও কয়েকজন শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। রাত সাড়ে ৮টার দিকে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সিলেট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা রুহেল আহমদ, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নাজমুল ইসলাম, এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা দিলোয়ার হোসেন রাহীসহ পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল।

প্রায় ৪০ মিনিটের বৈঠক শেষে আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করার জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের আহবান জানান অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল আনাম মো. রিয়াজ।

এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তোমাদের (আন্দোলনরত শিক্ষার্থী) সমস্যা মানে আমাদের সমস্যা। শিক্ষক সংকটের বিষয়টি আগামী এক সপ্তাহের ভেতরে সমাধান করা হবে। এছাড়া ছাত্রী নিবাসের নাম বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব নামকরণের বিষয়টি লিখিতভাবে আবেদন করতে হবে। এসময় বঙ্গবন্ধু হলের পানি বিষয়টি আগামী রোববারের ভেতর সমাধান হবে বলে জানান তিনি।

পরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে রোববার পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করা হয়।

এব্যাপারে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ইতিহাস বিভাগে শিক্ষক সংকট, হলের পানি সমস্যা নিরসনসহ বিভিন্ন দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে। খবর পেয়ে আমরা ক্যাম্পাসে যাই।পরে কলেজ প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছি। দ্রুত এ সংকট নিরসনে পদক্ষেপ নিতে প্রশাসন আমাদের আশ্বস্থ করেছেন।রোববার মধ্যে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র সঙ্গে আলাপ করে পানির সমস্যা সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

;

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭ সাংবাদিকের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি

ছবি: বার্তা২৪.কম

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ২৭ জন সাংবাদিক।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানায় এই ডায়েরি করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সকল সাংবাদিকদের পক্ষে আহত সাংবাদিক মো. ফাহাদ বিন সাইদ এতে স্বাক্ষর করেন যার জিডি নং-৪৬০।

জিডির মাধ্যমে নিরাপত্তা চাওয়া সাংবাদিকরা হলেন ফাহাদ বিন সাইদ (আজকের পত্রিকা), আহসান হাবিব (যায়যায়দিন), সিফাত শাহরিয়ার প্রিয়ান(আরটিভি), জিহাদুজ্জামান জিসান (কালবেলা), নবাব মো শওকত জাহান কিবরিয়া (আমার সংবাদ), আসলাম বেগ (খবরের কাগজ), শাকিল বাবু (প্রতিদিনের সংবাদ), রোকন বাপ্পী (দৈনিক বাংলা), আবু ইসহাক অনিক (দৈনিক জনবাণী), আরাফাত রহমান (আজকালের খবর), মোকছেদুল মোমিন (সারাবাংলা), রাশেদুজ্জামান রনিসহ (ভোরের কাগজ) মোট ২৭ জন সাংবাদিক।

কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালের প্রক্টর সঞ্চয় কুমার মুখার্জি বলেন, শুনেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭ সাংবাদিক ত্রিশাল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে। তবে, আমাকে কেউ বিষয়টি জানায়নি। সাংবাদিকদের উপর হামলার দিনই তিন সদস্য বিশিষ্টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। শীঘ্রই তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাব। তদন্তে দোষীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া সাংবাদিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে আমরা অবগত আছি।

এবিষয়ে ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকরা নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরি করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের একটি সংঘর্ষ চলাকালে সংবাদ সংগ্রহ করার সময় দুই সাংবাদিকের উপর অতর্কিত হামলা চালায় লোভন মুখলেস ও তানভীর তুহিন এর নেতৃত্বে একটি গ্রুপ। এরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আবু নাঈম আব্দুল্লার অনুসারী।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *