সারাদেশ

দুই শিশু থাকবে জাপানি মায়ের কাছে, বাবার কাছে মেজো মেয়ে: হাইকোর্ট

ডেস্ক রিপোর্ট: দুই শিশু থাকবে জাপানি মায়ের কাছে, বাবার কাছে মেজো মেয়ে: হাইকোর্ট

ছবি: বার্তা২৪.কম

জেসমিন মালিকা ও তার ছোট বোন থাকবে জাপানি মা নাকানো এরিকোর কাছে আর মেজো মেয়ে লাইলা লিনা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইমরান শরীফের কাছে থাকবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে আপিল আংশিক মঞ্জুর করে মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মামনুন রহমানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে ইমরান শরীফের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আখতার ইমাম, ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম, অ্যাডভোকেট নাসিমা আক্তার লাভলী। নাকানো এরিকোর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কেসি, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।

সন্তান ভাগাভাগির রায়ে আদালত বলেছে, বড় ও ছোট মেয়েকে নিয়ে জাপানি নাগরিক নাকানো এরিকো বাংলাদেশে বা যেকোনো দেশে বসবাস করতে পারবেন। তবে তাদের বাবা ইমরান শরীফ সন্তানদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করার সুযোগ পাবেন। একইভাবে দ্বিতীয় মেয়ে লাইলা লিনা বাবা ইমরান শরীফের কাছে থাকলেও জাপানি মাও দেখার সুযোগ পাবেন। 

জানা গেছে, ২০০৮ সালে জাপানি চিকিৎসক নাকানো এরিকো ও বাংলাদেশি-আমেরিকান নাগরিক শরীফ ইমরান (৫৮) জাপানি আইন অনুযায়ী বিয়ে করে টোকিওতে বসবাস শুরু করেন। তাদের ১২ বছরের সংসারে তিন কন্যাসন্তান জন্ম নেয়। তারা ৩ জনই টোকিওর চফো সিটিতে অবস্থিত আমেরিকান স্কুল ইন জাপানের শিক্ষার্থী ছিলেন।

২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি শরীফ ইমরান-এরিকোর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। ২১ জানুয়ারি ইমরান আমেরিকান স্কুল ইন জাপান কর্তৃপক্ষের কাছে তার মেয়ে জেসমিন মালিকাকে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করেন। কিন্তু এতে এরিকোর সম্মতি না থাকায় স্কুল কর্তৃপক্ষ ইমরানের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। এরপর এক দিন জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা স্কুল বাসে বাড়ি ফেরার পথে বাসস্টপ থেকে ইমরান তাদের অন্য একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে যান। সেখান থেকে স্কুলপড়ুয়া বড় দুই মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। ছোট মেয়ে জাপানে এরিকোর সঙ্গে থেকে যান।

জাপানি দুই শিশু ১৫ দিন গুলশানের বাসায় থাকবে বাবা-মায়ের সঙ্গে জাপানি দুই শিশু বাবার কাছে থাকবে: হাইকোর্ট মেয়েদের জিম্মা পেতে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে ২০২১ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশে আসেন এ জাপানি নারী।

থানায় ওসির ওপর হামলা: ২ জন রিমান্ডে, ১ জন কারাগারে

ছবি: বার্তা২৪.কম

রাজবাড়ী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইফতেখারুল আলম প্রধানের ওপর হামলার ঘটনায় দুই আসামির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়াও আরেক আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজবাড়ী গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান খান। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজবাড়ী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সুমন হোসেন এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আসামিরা হলেন- সদর উপজেলার খানখানাপুর ইউনিয়নের ডিক্রির চর চাঁদপুর গ্রামের আজাদ শেখের ছেলে শফিকুল ইসলাম (২৪), একই গ্রামের আজিজ শেখের ছেলে লিটন শেখ (৪৫) ও শহীদ ওহাবপুর গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে আক্কাস আলী মিয়া (৪৩)।

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজবাড়ী সদর থানার অফিসার ইনটার্জ (ওসি) মো. ইফতেখারুল আলম প্রধান নিজ অফিস কক্ষে হামলার শিকার হোন। এ ঘটনায় সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নীহারিকা বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করছেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক মোতালেব হোসেন।

রাজবাড়ী গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান খান বলেন, মামলাটি ডিবি তদন্ত করছে। আটককৃতদের আদালতে পাঠিয়েছিলাম। আদালতে রিমান্ডের আবেদন করলে মামলার ১ নম্বর আসামি শফিকুল ও ২ নম্বর আসামি লিটনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার তিন নম্বর আসামি আক্কাসকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে লিটন ও শফিকুল ৯ জনের নামে সদর থানায় একটি মারামারির জিডি করতে যান। ওই সময় থানায় ডিউটিরত অফিসার ছিলেন এসআই নীহারিকা। ৯ জনের নামে জিডির বিষয়টি এসআই নীহারিকার কাছে সন্দেহজনক মনে হলে এসআই নীহারিকা তাদের ওসির রুমে নিয়ে যান। তখন ওসি বিষয়টি খোঁজ নেওয়ার জন্য এক এসআইকে নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে যখন খোঁজ নিয়ে দেখেন যে তাদের সাথে দুই/তিন জনের ঝামেলা হয়েছে তখন ওসি ইফতেখারুল আলম প্রধান তাদেরকে জেরা করতে শুরু করে।

তখন লিটন আক্কাসকে কল দিয়ে ফোন পকেটে রেখে দেন। বিষয়টি ওসি দেখে ফেললে তাদের পকেটে কি আছে বের করতে বলেন। ওই সময় শফিকুলের শরীর তল্লাশি করে বৈদ্যুতিক শক দেওয়ার একটি মেশিন উদ্ধার করা হয়। এতে শফিকুল ক্ষিপ্ত হন এবং হঠাৎ করেই ওই মেশিন দিয়ে ওসির ওপর আক্রমণ চালান। এতে তার মুখের খানিকটা অংশ জখম হয়। পরে পুলিশ শফিকুল, তার অপর সহযোগী লিটন ও আক্কাসকে আটক করে।

পুলিশ সুপার জি.এম.আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। ঘটনাটি যে ঘটিয়েছে শফিকুলের সিডিএমএস যাচাই করে দেখা গেছে তার নামে মারামারির একটি মামলা রয়েছে। তিনজনকে এ ঘটনায় আটক করা হয়। পুলিশ বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা ও হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।

;

বরিশালে ধর্ষণ মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন

ছবি: সংগৃহীত

বরিশালের বাকেরগঞ্জে কিশোরীকে অপহরণ করে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় দু’জনকে দুই ধারায় যাবজ্জীবন এবং ১৪ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মো. ইয়ারব হোসেন এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ভাতশালা গ্রামের আউয়াল রাঢ়ি ও তৌকির সন্যামত।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী কাজী মো. হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এজাহারের বরাতে তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৭ জুন সন্ধ্যায় প্রেমের সম্পর্কে ১৬ বছর বয়সী কিশোরী তার প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে লঞ্চে করে বাকেরগঞ্জ ডিসি ঘাটে নামে। সেখানে নামার পর প্রেমিকাকে লঞ্চঘাটে রেখে প্রেমিক টাকা আনতে যায়।

এ সময় আউয়ালসহ কয়েকজন প্রেমিককে মারধর করে কিশোরীকে অপহরণ করে। পরে পশ্চিম ভাতশালা গ্রামের শংকর সাধুর বাড়ির পুকুর পাড়ে নিয়ে তৌকির ও আউয়াল ধর্ষণ করে। পরে কিশোরীকে সেখান থেকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে। কিশোরীর কাছ থেকে ঘটনা শুনে তৌকির ও আউয়ালকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

পরে কিশোরী বাদী হয়ে দু’জনকে আসামি করে বাকেরগঞ্জ থানায় মামলা করে। বাকেরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাছুম তালুকদার একই বছরের ৫ আগস্ট দু’জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। বিচারক সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আজ সোমবার এ রায় প্রদান করে।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী আরও বলেন, রায়ে অপহরণের অভিযোগে দু’জনকে ১৪ বছর করে কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

এছাড়া ধর্ষণের অভিযোগে দু’জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামি দু’জনই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

;

আরও দুই মামলায় বিএনপি নেতা আলালের জামিন

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর পল্টন ও রমনা মডেল থানার নাশকতার পৃথক দুই মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, রোববার রমনা থানার দুই মামলায় জামিন পান মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। আর এক মামলায় জামিন হলেই তিনি মুক্তি পাবেন।

গত ৩১ অক্টোবর রাতে রাজধানীর শাহজাহানপুরের এলাকার একটি বাসা থেকে মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।

;

ড. ইউনূসের আবেদন খারিজ, দিতে হবে ৫০ কোটি টাকা

ছবি: সংগৃহীত

৫০ কোটি টাকা জমা দিয়ে শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনুসের গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টকে ২০১১-১৩ বর্ষের আয়কর আপিল ফাইল করতে হবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ড. ইউনূসের আবেদন খারিজ করে এ রায় দেন। একই সঙ্গে আদালত বলেন, আইন অনুযায়ী যেটা দেওয়ার সেটাই ড. ইউনূসকে দিতে হবে। এখানে অনুকম্পা দেখানোর কোনো সুযোগ নেই।

গত ২৮ জানুয়ারি বেলা ১১টায় আদালতে উপস্থিত হয়ে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় শ্রম আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন ড. ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের অন্য তিন শীর্ষ কর্মকর্তা। ওই দিন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন আদালত। সেদিন শ্রম আদালতের দেওয়া সাজাও স্থগিত করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।

এর আগে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে জামিন চেয়েছিলেন তিনি। একই সঙ্গে শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার রায়ে ৬ মাসের সাজার বিরুদ্ধে ২৫টি যুক্তি দেখিয়ে খালাস চেয়ে আপিলও করেছিলেন। ওইদিন সকালে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে আপিল করেন ড. ইউনূস।

গত ১ জানুয়ারি ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান শেখ মেরিনা সুলতানা এক মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনুস এবং এর পরিচালক আশরাফুল হাসান, নুরজাহান বেগম ও এম শাহজাহানকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে তাদের চারজনকেই ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ২৫ দিন কারাদণ্ড দেন আদালত। আর রায়ের পরই পৃথক জামিন আবেদন করলে তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে চারজনকেই জামিন দেন আদালত।

তার আগে গত ১৬ নভেম্বর মামলাটিতে তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করে রাষ্ট্রপষ্ট। তারও আগে গত বছরের ৬ জুন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হলে রাষ্ট্রপক্ষের চার সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) এস এম আরিফুজ্জামান। নথি অনুযায়ী, ২০২১ সালের ১৬ আগস্ট আইএফইডি কর্মকর্তারা রাজধানীর মিরপুরে গ্রামীণ টেলিকমের অফিস পরিদর্শন করে শ্রম আইনের সঙ্গে কিছু লঙ্ঘন দেখতে পান।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *