এখনও কেউ নিতে আসল না শিশুটিকে, অপেক্ষায় এক নারীর মরদেহও!
ডেস্ক রিপোর্ট: এখনও কেউ নিতে আসল না শিশুটিকে, অপেক্ষায় এক নারীর মরদেহও!
এখনও কেউ নিতে আসল না শিশুটিকে, অপেক্ষায় এক নারীর মরদেহও!
ভোজনরসিকদের কাছে রাজধানীর বেইলি রোড অনেক জনপ্রিয়। একটা উপলক্ষে পেলে পরিবার পরিজন ও বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে এখানে ছুটে আসেন। সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার, তার উপর অধিবর্ষ বা লিপ ইয়ার! খাবারের সঙ্গে বেশ আড্ডা জমেছিল বেইলি রোডের রেস্টুরেন্টগুলোতে।তবে সন্ধ্যা রাতের আনন্দ আড্ডা বিষাদে রূপ নিলো গ্রীন কোজি কটেজের আগুনে।
বৃহস্পতিবার রাতের আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের জীবন প্রদীপ নিভেছে। জীবন মৃত্যুর দোটানায় আছেন আরও ১২ জন। নিহত ৪৬ জনের মধ্যে স্বজনরা বুঝে নিয়েছেন ৩৯ জনের মরদেহ। তিনজনের মরদেহ বুঝে নিতে এখনও কেউই আসেনি। এর মধ্যে রয়েছে অজ্ঞাত ৫ বছর বয়সী এক শিশু। তার পাশেই পড়ে রয়েছে আরও এক নারীর।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগের মর্গের মেঝেতে পড়ে আছে দুজনের মরদেহ।
শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে ঢামেকের জরুরি বিভাগের মর্গে গিয়ে দেখা যায়, আগুনের ধোঁয়ায় নিহত শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। গায়ে নতুন গেঞ্জি, পাজামা। পায়ে গোলাপি রঙের মোজা। দেখে বোঝাই যাচ্ছে পরিবারের সঙ্গে আনন্দের সঙ্গে এসেছিল শিশুটি। কিন্তু আগুনের লেলিহানে এখন অজ্ঞাত মরদেহ। তার পাশে এক নারীর মরদেহ।
ধারণা করা হচ্ছে, তারা সম্পর্কে মা এবং মেয়ে হতে পারে। তবে নিশ্চিত করতে পারেনি কেউ।
শিশুটির শরীরের কোন অংশ পুড়েনি। ধারণা করা হচ্ছে, অক্সিজেন স্বল্পতার কারণে মারা গিয়ে থাকতে পারে। এছাড়া পাশে থাকা নারীর মরদেহও পোড়েনি। দুজনের মুখই কালসে হয়ে আছে।
জানতে চাইলে মর্গের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, এই সুন্দর ফুটফুটে একটা মেয়ে পড়ে আছে। বিষয়টি মেনে নেয়ার মতো নয়। এখন পর্যন্ত এই শিশুর কোন স্বজন আসেনি। আমরা অজ্ঞাত হিসেবেই মরদেহটিকে রেখেছি। এছাড়াও আরও ৭টি মরদেহ এখন কেউ নিতে আসেনি।
বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে ওবায়দুল কাদেরের শোক
ছবি: সংগৃহীত
রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডে একটি বহুতল বাণিজ্যিক ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর সাধারণ সম্পাদক এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
শুক্রবার (১ মার্চ) আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার পাঠানো এক বিবৃতিতে এ শোক প্রকাশ করেন তিনি।
শোক বিবৃতিতে তিনি নিহত সকলের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং তাদের পরিবার-পরিজন, আত্মীয়- স্বজনসহ শোকসন্তপ্ত সকলের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। একই সাথে তিনি আহতদের সুচিকিৎসা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধৈর্য্য ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের অনুরোধ জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সঠিক তদন্ত এবং দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
;
কাউসারের বাড়িতে সাজানো ৫ খাটিয়া, খোঁড়া হচ্ছে সারিবদ্ধ কবর
ছবি: বার্তা২৪.কম
রাজধানীর বেইলী রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় একই পরিবারের ৫ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের গ্রামের বাড়ি শাহবাজপুরের সৈয়দ বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। নিহতদের মরদেহগুলো নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে শুক্রবার (১ মার্চ) দুপুরে রাজধানী থেকে লাশবাহী এম্বুল্যান্স রওয়ানা দিয়েছেন।
শুক্রবার বিকেলে বাদ আসর শাহবাজপুরে পারিবারিক কবরস্থানে মৃতদের দাফনের কথা রয়েছে।
নিহতরা হলেন- জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের আবুল কাসেমের ছেলে সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউসার (৫০), তার স্ত্রী স্বপ্না (৩৫), মেয়ে কাশফিয়া (১৭), আরেক মেয়ে নূর (১৩) ও ছেলে আব্দুল্লাহ (৭)। তারা রাজধানীর মধুবাগ এলাকায় বসবাস করতেন।
নিহত কাউসারের চাচাতো ভাই সৈয়দ আবুল ফারাহ তুহিন জানান, মাত্র দেড় মাস আগে ইতালি থেকে দেশে ফেরেন সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউসার। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রেস্টুরেন্টে খাবার খেতে যান তিনি। সেখানে দগ্ধ হয়ে সৈয়দ কাউসার, তার স্ত্রী স্বপ্না, মেয়ে কাশফিয়া, মেয়ে নূর, ছেলে আব্দুল্লাহ নিহত হন। মর্মান্তিক এই মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
তিনি জানান, বাদ আসর জানাজা শেষে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। গোরস্থানে একই সারিতে ৫ জনের জন্যে কবর খোড়া হচ্ছে। বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে ৫টি খাটিয়া।
;
মোংলায় দখল-দূষণে থাকা খালের পরিচ্ছন্নতা অভিযান
ছবি: বার্তা ২৪
মোংলায় দখল-দূষণে অস্তিত্ব সংকটে থাকা কয়েকটি সরকারি রেকর্ডীয় খালের ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার অভিযান শুরু হয়েছে। পৌর শহরের বুক চিঁড়ে বয়ে যাওয়া ঠাকুরানী খালের গালস্ স্কুলের অংশে এ পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতায় অংশ নিয়ে এ কাজের উদ্বোধন করেন পৌর মেয়র মুক্তিযোদ্ধা শেখ আ. রহমান। এ কাজে অংশ নিয়েছেন পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মীরা। এছাড়াও ব্যবহার করা হচ্ছে স্কেভটর/ভেকু মেশিন।
মেয়র শেখ আ. রহমান বলেন, খালের দুই পাড়ের লোকজন দখল ও ময়লা আর্বজনা ফেলে খালটিকে অস্তিত্বহীন এবং দূষিত করে ফেলেছেন। যা ময়লা ও মশার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। তাই প্রথমেই ঠাকুরানী খালের পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু করা হয়েছে। কয়েক দিন ধরে এ খালের ৩ কিলোমিটার জুড়ে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে মধুর খালের ৬ কিলোমিটার ও কেওড়াতলা খালের ১ কিলোমিটার জুড়ে ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা হবে। এই ময়লা-আবর্জনা পরিস্কারের পর খালের অবৈধ দখলমুক্ত ও তা খনন করে পুনরায় নাব্যতা ফিরিয়ে এনে আসছে বর্ষা মৌসুমের আগেই সচল, পানি প্রবাহ স্বাভাবিক এবং জলাবদ্ধতা নিরসন করা হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা আইয়ুব আলী ও বাদল মৃধা বলেন, ময়লা-আবর্জনা জমে ঠাকুরানী খালটি ভরাট হয়ে গেছে। পানি ওঠানামা বন্ধ থাকায় দুর্গন্ধ ও মশার উপদ্রবে টিকাই দায় হয়ে পড়েছে। খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় খননের অভাবে পানি প্রবাহ না থাকায় বর্ষাকালে চরম জলাবদ্ধতার শিকার হতে হয় আমাদের। তাই দাবির প্রেক্ষিতে অবশেষে পৌর কর্তৃপক্ষ খালটি পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করায় মেয়রকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। সেই সাথে দ্রুত সময়ের মধ্যে খালটি দখলমুক্ত ও জলাবদ্ধতা নিরসনে খনন করে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
;
আমরা সবকিছু কড়াই-গন্ডায় আদায় করে নেব: মান্না
ছবি: বার্তা২৪.কম
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা এবং নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, সরকার যত পাপ-অন্যায় করেছে সেগুলোর মাফ এদেশের জনগণ করবে না। এই সরকার গায়ের জোরে তিনবার জিতেছে। কিন্তু, একবারতো পরাজিত হবে। তখন, আমরা সবকিছু কড়াই-গন্ডায় আদায় করে নেব।
শুক্রবার (১ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, দেশে কোনো ভোট হয়নি। কিন্তু শেখ হাসিনা বলেছেন ৭ জানুয়ারির মতো এত সুন্দর ভোট ৭৫ এর পরে আর হয়নি। ৯৫ ভাগ মানুষ ভোট দেয়নি। অথচ শেখ হাসিনা বলছেন মানুষ প্রাণ খুলে ভোট দিয়েছেন। এরপর তারা বলে আমরা তো নির্বাচিত সরকার।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বাংলাদেশে বিশেষ করে গত ১৫ বছরে মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা, মহত্ত্ববোধ, সহমর্মিতা, ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানো এই কাজগুলো ভুলে যেতে বসেছে।
এসময় মানববন্ধনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, এ সরকার প্রতিদিন বেআইনি কাজকর্ম করে যাচ্ছে। সরকার বিরোধীদলের নেতাকর্মীদেরকে হয়রানি করার জন্য আইন-আদালতকে ব্যবহার করছে। বিরোধীদলের নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার করে ফরমায়েশি মামলা দিয়ে জেলে বন্দী করে রাখা হয়েছে। ফলে দেশের সাংবিধানিক, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গুলো কার্যত দুর্বল হয়ে গেছে। সরকারের কোনো জবাবদিহিতা নেই। সরকারের ক্ষমতায় থাকার পেছনে মানুষের কোনো সমর্থন নেই। রাজনৈতিক কোনো ম্যান্ডেড নেই।
বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবেদ রেজা, বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মো. সাইদুর রহমান প্রমুখ।
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।