সারাদেশ

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে ২০ কর্মকর্তার পদোন্নতি

ডেস্ক রিপোর্ট: অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে ২০ কর্মকর্তার পদোন্নতি

ছবি: সংগৃহীত

সহকারী পুলিশ সুপার ও সমমর্যাদার ২০ কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত এসপি) পদে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার।

সোমবার (৮ এপ্রিল) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব মাহবুবুর রহমান শেখ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, বিসিএস পুলিশ ক্যাডারেন নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি দেয়া হলো। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা হচ্ছেন— সহকারী পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান, এটিএম আমিনুল ইসলাম আবু ছালেহ মো. আনছার উদ্দীন, গোলাম রহমান, সাইকুল আহম্মেদ ভুইয়া, আশরাফ হোসেন, রেজাউল হাসান, আব্দুল করিম, ছয়রুদ্দীন আহম্মেদ, মনজুরুল আলম, জানে আলম খান, মোস্তাফিজুর রহমান, রেজাউল হক, আজিজুল হক, ফিরোজ আহমেদ, মাহবুব উর রশীদ, হুমায়ূন কবীর, সৈয়দ রুহুল ইসলাম, হুমায়ূন কবির ও রিয়াজ হোসেন।

পত্নীতলায় ঈদ উপহার সামগ্রী পেলেন গ্রাম পুলিশের সদস্যরা

ছবি: বার্তা২৪.কম

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নওগাঁর পত্নীতলা থানার ১১০ জন গ্রাম পুলিশদের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

সোমবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে পত্নীতলা থানা হলরুমে উপহার সামগ্রী তুলে দেন পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন।

এসময় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পত্নীতলা সার্কেল মু: আব্দুল মমীন। আরও উপস্থিত ছিলেন পত্নীতলা থানা তদন্ত ওসি সেলিম রেজা।

উপহার সামগ্রীর মধ্যে ছিল সেমাই, চিনি, চাল, তেল, গুঁড়ো দুধ সহ মোট ৮ প্রকার আইটেম। এ সময় থানার অন্যান্য পুলিশ সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন বলেন, গ্রাম পুলিশের সদস্যরা পুলিশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে কাজ করে থাকেন। থানা পুলিশের সঙ্গে গ্রাম পুলিশ বিশেষভাবে সম্পৃক্ত রয়েছে। তারা দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে থানা পুলিশকে বিভিন্নভাবে তথ্য দিয়ে সাহায্য করেন। তাদের এই কাজে উৎসাহ জোগানোর জন্য ঈদ উপলক্ষে পত্নীতলা থানার পক্ষ থেকে গ্রাম পুলিশ সদস্যদেরকে উপহার দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি।

;

মাগুরায় ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, চার চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা

ছবি: সংগৃহীত

মাগুরায় ভূল অস্ত্রোপচারের এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগে এক চিকিৎসক দস্পতিসহ চার চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মাগুরা সদরে বিজ্ঞ আমলী আদালতে মামলা হয়েছে।

সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে মাগুরা বিজ্ঞ আমলী আদালতে এ মামলা নিহত প্রসূতির বাবা অ্যাডভোকেট মিজানুর ফিরোজ।

মামলায় মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) ডাক্তার শফিউর রহমান, তার স্ত্রী ডাক্তার জাফরিন আক্তার, একই হাসপাতালের এ্যানেস হোমিওলজিস্ট ডাক্তার অরুন কান্তি ঘোষ, ঢাকার পপুলার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক ডাক্তার অনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেছেন, তার কন্যা শায়লা রহমান সেতু জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী সস্পন্ন করে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসে পরীক্ষা দিয়েছে। প্রসূতি শায়লা রহমান সন্তান প্রসবকালীন সময়ে ডাক্তার জাফরিন আক্তারের পরামর্শ মতে বাদী তাকে ৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার মাগুরা হাজী আব্দুল হামিদ সড়কে লাইফ কেয়ার ক্লিনিকে ভর্তি করেন। সেখানে ওই রাতে সিজারিয়ানের মাধ্যমে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয় শায়লা রহমান। কিন্তু এই অস্ত্রপচারের সময় তলপেটের খাদ্যনালি কেটে ফেলায় জটিল অবস্থার মুখমুখি হয় শায়লা রহমান। এ সময় ডাক্তার জাফরিন আক্তার রোগীর রক্তক্ষরণ শুরু হলে তার স্বামী ডাক্তার শফিউর রহমানকে ফোন দেন শফিউর রহমান ভোর রাতে একই ক্লিনিকে ডাক্তার শফিউর রহমান, ডাক্তার জাফরিন আক্তার, ডাক্তার অরুন কান্তি ঘোষ রোগীর তলপেটসহ একাধিক স্থানে পূরনরায় অস্ত্রপচার চালায়।

এ সময় আরো রক্তক্ষরণ হলে বাদী পক্ষ দিয়ে ১১ ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করে রোগীর শরীরের দেয়া হয়। কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ডাক্তার শফিউর রহমান রোগীকে শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে পুনরায় অচেতন করে চিকিৎসার চেষ্টা করেন। এ সময় রোগীর অবস্থা মৃত্যু শংকটাপন্ন হয়ে পড়লে উল্লেখিত চিকিৎসকরা জানান, ভূল চিকিৎসার কারণে রোগীর শরীরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে।

এ কারণে তাকে ঢাকার পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাতে হবে। সে মোতাবেক বাদী পক্ষ রোগীকে ঢাকা পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে আইসিইউতে কিছুক্ষণ রাখার পর রোগীর মৃত্যু হয়। বাদী মনে করেন উল্লেখিত চিকিৎসকদের ঢাকার পপুলার হাসপাতালের বাণিজ্যিক সর্ম্পক রয়েছে। সেখানে নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা এড়াতে ওই তিন চিকিৎসক পপুলার হাসপাতালের চিকিৎসক ডাক্তার আনোয়ার হোসেনকে দিয়ে কৌশলে মৃত্যু সনদ নেয়ার জন্যে সেখানে স্থানান্তর করেছিলেন।

যার জন্য ডাক্তার আনোয়ার হোসেনকে মামলায় আসামী করা হয়েছে। মাগুরার সদর আমলী আদালতের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট হুমায়ন কবীর অভিযোগটি আমলে নিয়েছেন।

এ রিপোর্ট লেখা পযর্ন্ত বিষয়টি আদেশের অপেক্ষায় আছে বলে জানিয়েছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রোকনুজ্জামান খান।

;

সিলেটে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চক্রের ৭ সদস্য আটক

সিলেটে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চক্রের ৭ সদস্য আটক

সিলেটে ট্রেনের টিকেট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত ৭ জনকে আটক করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)- ৯। এসময় তাদের কাছ থেকে ১২৫ আসনের ৫৪টি অনলাইন টিকেট উদ্ধার করা হয়।

রোববার (০৭ এপ্রিল) ও সোমবার (০৮ এপ্রিল) সিলেট বিভাগ ও ব্রাহ্মনবাড়িয়ার বিভিন্ন রেল স্টেশনে অভিযান চালিয়ে এমন কালোবাজারিদের আটক করা হয়।

সোমবার র‌্যাব-৯ এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৯ এর অধিনায়ক মো.মোমিনুল হক।

আটককৃতরা হলো- মো. আরিফ (৩২), সজল কান্তি চন্দ (৬০), আরিফুল ইসলাম (১৯), রাজিব কুমার দাস (৪৫), মো. স্বপন মিয়া (৪২), মো. ইব্রাহিম ইসলাম রিফাত (২৪), মোহাম্মদ সাগর (৩৫)।

সংবাদ সম্মেলনে মো.মোমিনুল হক জানান, ঈদে শতভাগ ট্রেনের টিকেট অনলাইনে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সংঘবদ্ধ কালোবাজারি চক্রের সদস্যরা দ্রুত অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেনের বেশির ভাগটিকেট ক্রয় করে। পরবর্তীতে ট্রেনের টিকেটের চাহিদা অনুযায়ী তারা বিভিন্ন রেলস্টেশন এবং এর আশেপাশের এলাকায় অবৈধভাবে ট্রেনের টিকেট জনসাধারণের কাছে অধিক মূল্যে বিক্রি করে লাভবান হয়।

তিনি জানান, র‌্যাব-৯, সিলেট এর কাছে তথ্য ছিল যে, অনলাইনে টিকেট বিক্রির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সিলেটেও ব্রাক্ষণবাড়ীয়ায় বেশ কয়েকটি টিকেট কালোবাজারি চক্র সক্রিয় রয়েছে। তারা অনলাইনে ভিন্ন ভিন্ন জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কার্ড ও মুঠোফোন নম্বর ব্যবহার করে টিকেট ক্রয় করে চড়া দামে সাধারণ যাত্রীদের কাছে বিক্রি করছে। সাধারণ জনগণ অনেক সময়ই অধিক মূল্যে ট্রেনের টিকেট ক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছেন। এসকল তথ্যের ভিত্তিতে ট্রেনের কালোবাজারিদের আটকে র‌্যাব-৯, সিলেট গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব সিলেট বিভাগ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার একাধিক রেলওয়ে স্টেশনে অভিযান পরিচালনা করে কালোবাজারি চক্রের ৭ জন সদস্যকে আটক করে।

র‌্যাব অধিনায়ক আরও জানান, ঈদ পূর্ববর্তী সময়ে এই কালোবাজারি চক্র বিশেষভাবে সক্রিয় থাকে। তারা বিভিন্ন এনআইডি ও মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে এসব টিকেট ক্রয় করে এবং হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সেগুলো ট্রেনের টিকেট প্রত্যাশীদের কাছে অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি করে।

;

বান্দরবানে কেএনএফ সদস্য সন্দেহে ৫৪ জন আটক

ছবি: সংগৃহীত

বান্দরবানের রুমা ও থানচিসহ বিভিন্ন উপজেলায় সন্ত্রাস বিরোধী যৌথ বাহিনীর অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সদস্য সন্দেহে ৫৪ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।

সোমবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬ টায় জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন বলেন, এই পর্যন্ত জেলায় যৌথ অভিযানে ৫৪ জন কে আটক হয়েছে।

থানচি ও রুমা উপজেলা থেকে সবচেয়ে বেশি আটক করা হয়েছে, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে তারা কেএনএফ সদস্য।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *