সারাদেশ

হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর আত্নহত্যা, মায়ের আহাজারি

ডেস্ক রিপোর্ট: হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর আত্নহত্যা, মায়ের আহাজারি

ছবি: বার্তা ২৪.কম

‘মোর বাবার টেনশন আছিলো মোর কতদিনে চাকরি হবে কতদিনে বিয়া করিবে। মোর বাবা যে এরকম করিয়া যাবে রে। মোর বাবাকে মুই কোটে পাইম, মোর বাবা যে কত সুন্দর মোক বুঝায় ওরকম বুঝ মোক কায় দিবে। এভাবেই আহাজারি করছিলেন দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শিক্ষার্থী গৌর চন্দ্রের মা পুষ্প রাণী রায়।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মহাবলিপুরের কামিনী রায় ছাত্রাবাস থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় গৌর চন্দ্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গৌর চন্দ্র হাবিপ্রবির কৃষি অনুষদের ২৩ ব্যাচের (২০২২-২৩) ‘এ’ সেকশনের শিক্ষার্থী ও নীলফামারীর ডোমারের সোনারায়ের জামিরবাড়ি গুপ্তপাড়া এলাকার ভুবন চন্দ্র রায়ের ছেলে। দুই ভাইয়ের মধ্যে গৌর বড়।

সে ২০২০ সালে ডুগডুগি বড়গাছা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ২০২২ সালে ডোমার সরকারি কলেজে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পাস করেন।

গৌর চন্দ্রের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তার মা আহাজারি করছেন। আত্মীয়-স্বজনও শোকে কাতর। গৌরের মৃত্যুর খবরে তার বাড়িতে এসে ভিড় করেছেন প্রতিবেশীরা।

গৌরের মা পুষ্প রাণী বার্তা২৪কে বলেন, কয়েকদিন আগত মোর বাবা বাড়িত আসছিলো, যাবার সময় ধরনীগঞ্জে ওর পিসির বাড়িতে ঢুগছে যাবার পারে নাই হরতালের কারণে। মোর বাবা মোক কয়ছে, মুই যাবারে পারো নাই হরতালের কারণে কাইলকা যাম মা। পরে মুই আর মোর বাবার সঙ্গে কথা কবারে পারো নাই। এতো হতভাগা কপাল পোড়া মুই মোর ফোনত টাকায় আছিলো না। তার জন্যে ফোনে দিবার পারো নাই মোর বাবাটাক। মোর বাবার সঙ্গে আও করিলে হয়তো বোধ পানু হয়।

গৌড়ের ছোট ভাই নিতাই চন্দ্র রায় বার্তা২৪কে বলেন, ভাই আট-দশদিন আগে বাড়ি থেকে মেসে গেছে। দুইদিন আগে ফোন দিয়ে আমাকে ফোন দিয়ে টাকা চেয়েছিল সেই টাকা গতকাল দিতে বিকাশের দোকানে গেছিলাম। সেখানে যাওয়ার পর থানা থেকে ফোন দিয়ে বললো আপনার ভাই আত্মাহত্যা করেছে।

মামাতো বোন রত্না রাণী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ওর একটা রিলেশনশিপ ছিল, কিন্তু ওকে আমি ব্রেকাপ করতে বলছিলাম। কিন্তু ও বলেছিল না দিদি আমি এক নারীতেই আসক্ত। এই বিষয়টা নিয়ে আমি অনেক চিন্তিত ছিলাম, ও যে ইমোশনাল এজন্যই আমি তাকে ব্রেকাপ করতে বলছিলাম, তার পরও যে ফেসবুকে যে পোস্ট গুলা দিতো দেখতাম সব কিছু ঠিক আছে, আমি কথাও বলছি তখন সে বলেছে দেখ দিদি সব ঠিক আছে। আগে জব পরে সব এভাবেই বলছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও ইউপি সদস্য হরি কিশোর রায় বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমাদেরকে থানা থেকে জানানোর পর আমরা প্রথমে থানায় যাই, পরে হাসপাতালে মরদেহ পাই। আজ ময়নাতদন্তের পর মরদেহ আমাদের কাছে হস্তান্তর করবে।

তিনি আরও বলেন, গৌর খুব ভালো ছেলে। এলাকায় সে কম বেড়াতো সব সময় ঘরে বসে পড়ালেখা করতো। আমরা সেখানে খবর নিয়ে শুনছি প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যার করতে পারে। তাকে নিয়ে আমরা অনেক আশা করছিলাম। সে ভালো পড়াশুনা করতো।

ট্রাক চাপায় নিহত আরিফুল ইসলাম ও সৌভিক করিম ‘হত্যার’ বিচারের দাবি

ছবি: বার্তা২৪

রাজধানীর নিউ ইস্কাটন রোডে ট্রাকের চাপায় আরিফুল ইসলাম ও সৌভিক করিম নামের দুই বন্ধু নিহতের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেছে তাদের বন্ধু ও সহযোদ্ধারা। গণসংহতি আন্দোলনের জাতীয় পরিষদ সদস্য ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি ছিলেন আরিফুল ইসলাম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সৌভিক করিম। 

শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় রাজধানীর ইস্কাটনে দুর্ঘটনাস্থলে এই মানববন্ধন ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। এসময় আরিফুল ইসলাম ও সৌভিক করিমের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এসময় উপস্থিত বন্ধু ও সহযোদ্ধারা ‘সড়কের মৃত্যুর মিছিল থামবে কবে’, ‘জীবন কোনও সংখ্যা নয়’, ‘আরিফুল ইসলাম ও সৌভিক করিম হত্যার বিচার কর’ সহ বিভিন্ন দাবিতে প্ল্যাকার্ড হাতে নীরব প্রতিবাদ জানান।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন আলোকচিত্রী শহীদুল আলম, অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ, সমকালের প্ল্যানিং এডিটর ফারুক ওয়াসিফ, কণ্ঠশিল্পী শায়ান, গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভা প্রধান তাসলিমা আখতার, সমগীতের সভাপতি দিনা তাজরিন, শিক্ষক বীথি ঘোষ, সম্মিলিত পেশাজীবি সংহতির সদস্য সচিব ইখতিয়ার উদ্দিন, সৈকত মল্লিক, চিত্র পরিচালক হাবিবুর রহমানসহ গণসংহতি ও ছাত্র ফেডারেশনের নেতাকর্মীরা।

এর আগে বাদ আছর রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেন মসজিদে আরিফুল ইসলাম ও সৌভিক করিমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

সেখানে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আহমেদ কামাল, প্রয়াত আরিফুল ইসলামের পিতা খায়রুল ইসলাম, সৌভিক করিমের পিতা এটি এম ফজলুল করিম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, জাতীয়তাবাদ সমমনা জোটের চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লৎফুর রহমান প্রমুখ।

;

সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাজশাহী কলেজ ঘেরাও সোমবার

ফাইল ছবি

পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে রাজশাহী কলেজে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সোমবার (১৩ নভেম্বর) কলেজ ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছে সাংবাদিকেরা।

শুক্রবার (১০ নভেম্বর) রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন (আরইউজে), রাজশাহী টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের রাজশাহী জেলা শাখা ও রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটির এক যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে করণীয় ঠিক করতে শুক্রবার বিকালে আরইউজে কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের করা হবে। আর দোষীদের কলেজ থেকে আজীবন বহিষ্কারের দাবিতে আগামী সোমবার রাজশাহী কলেজ ঘেরাও করা হবে। কলেজ কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত কলেজের সমস্ত সংবাদ বয়কট করা হবে। এছাড়া ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা না নেওয়া হলেও পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন সাংবাদিকেরা।

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) যুগ্ম মহাসচিব রাশেদ রিপন, আরইউজের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী হাসান শ্যামল, ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ, রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাকিম, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক জিয়াউল গনি সেলিম, সাইফুর রহমান রকি, মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল, এনায়েত করিম, রিমন রহমান, সাখাওয়াত হোসেন, শিরিন সুলতানা কেয়া, রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি মাহাবুল ইসলাম, প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক তানজিলা আক্তার প্রমুখ।

উল্লেখ্য, নিয়ম বহির্ভূতভাবে পরীক্ষা দিতে না দেওয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী কলেজের গণিত বিভাগে ভাঙচুর শুরু করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় ছবি তুলতে গেলে রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ রনি ও সংগঠনের সদস্য আবদুল আলীমকে মারধর করেন ছাত্রলীগ কর্মীরা। তারা সাংবাদিকদের মুঠোফোনও কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলেন। কলেজের অধ্যক্ষ মোহা. আবদুল খালেকের সামনেই এই ঘটনা ঘটে। কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম জাফরের অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মী সাঈদ হাসান আশিক, মো. সাহেদুজ্জামান, আশিকুর রহমান সজিব, সাজেদুর রহমান সিজার, মো. মেহেদী, আবদুর রহিম, মো. জাকারিয়া ও সাব্বির হোসেন এই হামলা চালান। পরে আহত দুই সাংবাদিককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

;

‘কক্সবাজার রেললাইন ট্রান্স এশিয়ান রেলপথের অংশ হবে’

প্রকল্প পরিচালক মো. সুবক্তগীন

পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারকে রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত করাই ছিল দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের মুখ্য উদ্দেশ্য। তাছাড়া এটি ট্রান্স এশিয়ান রেলপথের একটা অংশ হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মো. সুবক্তগীন।

শুক্রবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনের রেল সচিবের সঙ্গে উদ্বোধনী প্রস্তুতি পরিদর্শন শেষে তিনি এ তথ্য জানান।

সুবক্তগীন বলেন, দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারকে রেল নেটওয়ার্ককে নিয়ে আসা এবং সারা দেশের সঙ্গে রেলওয়ের মাধ্যমে যুক্ত করাই ছিল আমাদের এই প্রকল্পের মুখ্য উদ্দেশ্য। এটা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, এটি আমাদের ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের একটি অংশ হবে। এই রেল শুধু যাত্রীবাহী হিসেবে না আমাদের মাতাবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর হচ্ছে, সেখান থেকেও প্রচুর জিনিসপত্র বা পণ্য আমরা পরিবহন করতে পারব, সেটির একটি উদ্দেশ্য আছে। অর্থাৎ সারাদেশের সঙ্গে আগে সড়কযোগে, বিমান পথে বা নৌপথে কক্সবাজার আসা যেত। এখন আমাদের এই রেললাইন প্রকল্পের মাধ্যমে যেটা খুব পরিবেশবান্ধব ও আরামদায়ক যাত্রা হবে। তাছাড়া আপনারা জানেন যে ২০০ টাকার কম খরচে ঢাকা থেকে কক্সবাজার আসা যাবে।

তিনি বলেন, এ প্রকল্পের কতগুলো আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে। যেগুলো অন্য প্রকল্পে নেই। তাছাড়া আইকনিক রেলস্টেশন করা হয়েছে। আমরা আগে অপারেশন পার্পাসে রেল স্টেশন করতাম, কক্সবাজারের এই আইকনিক রেল স্টেশনে অপারেশন পার্পাসের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানের বিপণিবিতান আছে, হোটেল সুবিধা আছে, জিনিসপত্র রাখার জন্য লকার সুবিধা আছে। এখানে যাত্রীরা এসে ভোরে গোসল করতে পারবে। তাদের লাগেজ বা জিনিসপত্র লকারে রেখে সারাদিন ঘুরে আবার ট্রেনে চড়ে চলে যেতে পারবে।

এছাড়াও রেলস্টেশনটিতে মাল্টি কমপ্লেক্স বানানোর ব্যবস্থা করা আছে। এগুলো আমরা রিজার্ভ করে দিব। এগুলোর মাধ্যমে আমাদের সম্মানিত যাত্রীরা সুবিধা লাভ করবে। পাশাপাশি আমাদের রেলওয়ে অনেক রেভিনিউ আর্ন করতে পারবে জানান এই প্রকল্প পরিচালক।

শনিবার (১১ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রামে-কক্সবাজার রেললাইন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পর ১ ডিসেম্বর থেকে এই রুটে বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল শুরু হবে। এই রুটে ঢাকা থেকে কক্সবাজারের সর্বনিম্ন ভাড়া (লোকাল) ১৮৮ টাকা এবং সর্বোচ্চ ভাড়া ১৭২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

জানা গেছে, দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প ২০১০ সালের ৬ জুলাই একনেকে অনুমোদন পায়। ২০১৮ সালে এই রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের ৩০ জুন। পরে এক দফা বাড়িয়ে প্রকল্পের মেয়াদ করা হয় ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। এতে ব্যয় ধরা হয় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।

প্রকল্পে ঋণ সহায়তা দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। তবে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লেও ব্যয় বাড়েনি। এ প্রকল্পের কাজ পুরোদমে চলায় নির্ধারিত সময়ের আগেই তা সমাপ্ত হতে যাচ্ছে।

২০১৬ সালের ২৭ এপ্রিল প্রকল্পটি ‘ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। রেলপথটি নির্মিত হলে মিয়ানমার, চীনসহ ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের করিডোরে যুক্ত হবে বাংলাদেশ।

;

আমতলীতে অবরোধে বাস পোড়ানোর ঘটনায় মামলা, আটক ৯

প্রতিকী ছবি

বিএনপি-জামায়াতের তৃতীয় দফা অবরোধ চলাকালে বরগুনার আমতলীতে বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ৬৮ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অনেককে অজ্ঞাত আসামি করে আমতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পুড়ে যাওয়া বাসের চালক আবুল হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে আটক করেছে ৯ জনকে।

শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকালে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। 

গ্রেফতারকৃতরা হল- বশির হাওলাদার, মাসুম হাওলাদার, কাওছার হাওলাদার, লোকমান হাওলাদার, আল-আামিন প্যাদা, খবির হাওলাদার, বাবুল হাওলাদার, মাসুম তালুকদার ও আবুল হাওলাদার।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি-জামায়াতের তৃতীয় দফা অবরোধ চলাকালে আমতলী-তালতলী সড়কে দুর্বৃত্তরা সাকুরা পরিবহন (ঢাকা মেট্টো-ব- ১১-৮৫৭১) নামে ঢাকাগামী একটি বাস ভাঙচুর করে তাতে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিলে বাসটি সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পুড়ে যাওয়া বাসটি ওইদিন রাত ৯টার সময় তালতলী উপজেলা থেকে ৪ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। ওই সময় বাসে থাকা যাত্রী, হেলপার, সুপার ভাইজার ও চালক বাস থেকে নেমে জীবনে রক্ষা পায়। সংবাদ পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় বাসের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ততক্ষনে বাসটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত মো. আমির হোসেন সেরনিয়াবাদ বলেন, গ্রেফতার হওয়া ৯ জনের মধ্যে বশির, খবির ও আল-আমিন প্যাদাকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়েছে।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, বাস পোড়ানোর মামলায় গ্রেফতার হওয়া ৯ জনকে আজ শুক্রবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকী আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *