সারাদেশ

দ্বৈত প্রার্থী থাকা আসনে প্রতীক বরাদ্দ দিলেন জিএম কাদের

ডেস্ক রিপোর্ট: নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনো কমিটি বিলুপ্ত করা হলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলে তিনি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমতি ছাড়া কেউ কমিটি বিলুপ্ত করলে বাতিল ও গ্রহণযোগ্য হবে না। আমরা কাউকে কমিটি বিলুপ্ত করতে অনুমতি দেইনি। এই মুহূর্তে কোনো কমিটি বিলুপ্ত করার নির্দেশনাও নেই। 

আওয়ামী লীগ সংবিধান মানছে, বিএনপি মানছে না জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উদযাপন করতে গিয়ে পরাজয়ের দিবস বলে উপহাস করেছে। আওয়ামী লীগের দোষ আওয়ামী লীগ নির্বাচনে যাচ্ছে, বিএনপি যাচ্ছে না। আওয়ামী লীগ সংবিধান মানছে, বিএনপি মানছে না। বিএনপি-জামায়াত দেশের মধ্যে ষড়যন্ত্র করছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা নির্ভীকচিত্তে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। কেউ নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না। নির্বাচন এগিয়ে চলছে। বিএনপি বলছে এই নির্বাচন ভাগাভাগির নির্বাচন। বিএনপি না এলেও ২৮টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। এটা কেন ভাগাভাগির নির্বাচন হবে। বিএনপি বলে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। কেন পদত্যাগ করতে হবে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে নির্বাচন হচ্ছে। 

তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচন প্রতিরোধের ডাক দিয়েছে, সেখানে যেসব রাজনৈতিক দল নির্বাচন করছে তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকার বিষয়টিও আলোচনায় স্থান পেয়েছে। আমি যতটুকু জানি আমাদের দলের পক্ষ থেকে একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক আসনে মীমাংসা বা সমঝোতা হয়েছে। তেমন ধারণা জাতীয় পার্টিকে দেওয়া হয়েছে। তাদেরও একটা চাওয়া আমাদের কাছে আছে। তাদের চাওয়া থাকতেই পারে। আমাদের দ‌লেরও একটা সামর্থ্যের ব্যাপার আছে, সেটা আমাদের নিজেদের সিদ্ধান্তের বিষয়।

মিত্রদের কতটি আসনে ছাড় দিচ্ছে আওয়ামী লীগ? এমন প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিকাল চারটা পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। মাত্র চার ঘণ্টার ব্যাপারই তো। সব স্পষ্ট হয়ে যাবে।

কত আসনে সমঝোতা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার আগাম ঘোষণা দেওয়া ঠিক হবে না। আমরা জাতীয় পার্টি ও শরিকদের নির্দিষ্ট সংখ্যক আসনে সমঝোতার ধারণা দিয়েছি। 

জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে এমন ইঙ্গিত দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, রদবদল যা হওয়ার এই চার ঘণ্টার মধ্যেই হয়ে যাবে। তাদের সঙ্গে আমাদের বারবার কথাবার্তা হয়েছে। শুধু আসন বণ্টন নিয়ে নয়; সমসাময়িক রাজনৈতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আমরা একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চাই। তারাও চায় দেশ স্থিতিশীল থাকুক।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, কার্যনির্বাহী সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজি প্রমুখ।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *