সারাদেশ

মাঠে নেমেছে সশস্ত্র বাহিনী

ডেস্ক রিপোর্ট: ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে বুধবার (৩ জানুয়ারি) সকালে মাঠে নেমেছে সশস্ত্র বাহিনী।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

আইএসপিআর জানিয়েছে, আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দিতে বুধবার থেকে মাঠে নেমেছে সশস্ত্র বাহিনী।

এর আগে মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সশস্ত্র বাহিনী ভোট গ্রহণের পূর্বে, ভোট গ্রহণের দিন ও ভোট গ্রহণের পরে শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী ৩-১০ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন/স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দেবে।

সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা/উপজেলা/মেট্রোপলিটন এলাকার নোডাল পয়েন্ট ও অন্যান্য সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান করবে। সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের অনুরোধক্রমে ও সমন্বয়ের মাধ্যমে বাহিনীগুলো এলাকাভিত্তিক মোতায়েন সম্পন্ন করছে।

সেনাবাহিনী ৬২টি জেলায় নিয়োজিত হয়েছে জানিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, সমতলে সীমান্তবর্তী ৪৫ উপজেলায় বিজিবি এককভাবে দায়িত্ব পালন করবে; এছাড়া সীমান্তবর্তী ৪৭টি উপজেলায় সেনাবাহিনী বিজিবির সঙ্গে এবং উপকূলীয় ৪টি উপজেলায় কোস্ট গার্ডের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করবে। উপকূলীয় দুটি জেলাসহ (ভোলা ও বরগুনা) সর্বমোট ১৯টি উপজেলায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী হেলিকপ্টারে করে দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলের ভোটকেন্দ্রগুলোতে প্রয়োজনীয় হেলিকপ্টার সহায়তা দেবে। এছাড়া জরুরি প্রয়োজনে নির্বাচনী সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রয়োজনীয় সংখ্যক হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে যৌথ সমন্বয় সেল স্থাপন করা হয়েছে, যা ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

নির্বাচন উপলক্ষে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে সশস্ত্র বাহিনী সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসছেন বিদেশি ৮০ পর্যবেক্ষক

ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বিদেশি ৮০ পর্যবেক্ষকের আসার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী কয়েক দিনে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে ভোটের খবর সংগ্রহে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ৫০ জন গণমাধ্যমকর্মীও বাংলাদেশে আসছেন।

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।  

ইসি সূত্র জানায়, নির্বাচন পর্যবেক্ষণে এবার বিদেশি পর্যবেক্ষক ও গণমাধ্যমকর্মী মিলিয়ে ২২৭ জন আবেদন করেছিলেন।

সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে এখন পর্যন্ত রাশিয়া, চীন, জাপান, ভারত, নাইজেরিয়া, গাম্বিয়া, লেবানন, জর্ডান, ফিলিস্তিন, মরিশাসসহ ১১টি দেশের ৮০ জনের মতো নির্বাচন পর্যবেক্ষকের বাংলাদেশে আসার প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে বিদেশি মিশন এবং সংস্থাগুলোকে আগে চিঠি দেয়া হয়েছিল।  

কর্মকর্তারা আরও জানান, নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে যেসব বিদেশি পর্যবেক্ষক আসবেন, তাদের থাকা-খাওয়াসহ প্রয়োজনীয় সব খরচ সরকার বহন করবে। অন্যদিকে যারা নিজ উদ্যোগে আসছেন তাদের নিজেদেরই খরচ বহন করতে হবে।

  ভোট এলো, এলো ভোট ;

নৌকায় ভোট দিতে বিএনপির সমর্থকরাও কেন্দ্রে যাবে: তথ্যমন্ত্রী   ভোট এলো, এলো ভোট

‘নৌকায় ভোট দিতে বিএনপির সমর্থকরাও কেন্দ্রে যাবে’

৭ জানুয়ারি নৌকায় ভোট দিতে বিএনপির সমর্থকরাও কেন্দ্রে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম-৭ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ রাঙ্গুনিয়ার রাণীরহাট বাজার চত্বরে নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন।

উপজেলার রাজানগর ও ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যৌথ আয়োজনে জনসভায় সভাপতিত্ব করেন রাজানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু ছৈয়দ তালুকদার।

তিনি বলেন, বিএনপি ভোট বর্জনের কথা বলছে, কিন্তু সারাদেশে নির্বাচনী আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। এই আমেজ আর দেশে আওয়ামী লীগ সরকারের চলমান উন্নয়ন দেখে এখন বিএনপির অনেক সমর্থকরাও আমাদের ভোটের মিছিলের পেছনে পেছনে হাঁটছে। ৭ তারিখে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার জন্য তারাও কেন্দ্রে যাবে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ২০০৮ সালে ভোটের ক্যাম্পেইন করার সময় প্যান্টের অর্ধেক তুলে মোটরসাইকেলে চড়ে, খাল পেরিয়ে কাঁদা মাড়িয়ে অনেক কষ্টে যেতে হতো, আর এখন সেই অবস্থা নেই। এখন রাঙ্গুনিয়াসহ সারাদেশে যোগাযোগের অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। এসব সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বের কারণে।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম রাঙ্গুনিয়ার উন্নয়ন হবে। আমি দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার শেষ প্রান্তের ছেলে। অনেকে বলেছিল উন্নয়ন সব ওইদিকেই হবে। কিন্তু নির্বাচিত হয়ে প্রথমেই মরিয়মনগর থেকে রাণীরহাট পর্যন্ত ডিসি সড়কের উন্নয়ন কাজ করেছি। বগাবিলি ব্রিজ প্রথমেই হয়েছে। এখানে বড় বড় বিএনপি নেতারা ছিলো, এখনো আছে। তাদের বাড়ির সামনের রাস্তা প্রথমেই পাকা হয়েছে। এরপর দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার উন্নয়ন করেছি। অথচ আমার বাড়ির সামনের রাস্তাটাও এখনো ২০ বছর আগের মতোই রয়ে গেছে।

জনসভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন চৌধুরী মিল্টনের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা পৌরসভার মেয়র শাহজাহান সিকদার, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, নজরুল ইসলাম তালুকদার, উত্তর জেলা কৃষক লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, প্রমুখ।

  ভোট এলো, এলো ভোট ;

নোয়াখালী-১: যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব থাকায় রুহুল আমিনের প্রার্থিতা বাতিল   ভোট এলো, এলো ভোট

দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকায় রুহুল আমিনের প্রার্থিতা বাতিল

নোয়াখালী-১ সংসদীয় আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার রুহুল আমিনের দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকায় প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

মঙ্গলবার (০২ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. আব্দুছ ছালাম সাক্ষরিত চিঠিতে এ তথ্য জানায়। 

যুক্তরাষ্ট্র নাগরিকত্ব থাকায় Representation of the People Order, 1972 এর Article 91E এর Clause (2) এর বিধান অনুযায়ী এই প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে বলে জানায় ইসি।

চিঠিতে জানানো হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৬৮ নোয়াখালী-১ সংসদীয় আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জনাব খন্দকার আর আমিন এর দ্বৈত নাগরিকত্ব (যুক্তরাষ্ট্র) সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে দায়েরকৃত রিট পিটিশন নং-১৬৬৯২/২০২৩ এ মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগ উক্ত অভিযোগের বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা প্রদান করেন।

২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগ উক্ত তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে বর্ণিত প্রার্থী খন্দকার রুহুল আমিন এর প্রার্থিতা সংক্রান্ত যথাযথ আইনানুগ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশনাসহ রায় প্রদান করেছেন। মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে বর্ণিত জনাব খন্দকার আর আমিন পিটিশনার হয়ে মাননীয় আপিল বিভাগে সিভিল মিসসেলেনিয়াস পিটিশন (সিএমপি) নং-১২৩৩/২০২৩ দায়ের করেন যা ০২ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে শুনানীঅন্তে খারিজ করা হয়। 

চিঠিতে আরও জানানো হয়, প্রার্থী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব বহাল থাকাবস্থায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের ১ম খণ্ডের তৃতীয় অংশে উল্লিখিত ১(খ) দফায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৬(২) অনুযায়ী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার বা থাকার অযোগ্য নন মর্মে মিথ্যা ঘোষণা প্রদান করে বাংলাদেশের সংবিধান এবং নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধান লঙ্ঘন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার বা থাকার অযোগ্য মর্মে বিবেচিত হয়েছেন।

এছাড়া, মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক রিট পিটিশন নং-১৬৬৯২/২০২৩ এ ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখের প্রদত্ত রায় মোতাবেক Representation of the People Order, 1972 এর Article 91E এর Clause (2) এর বিধান অনুযায়ী বর্ণিত স্বতন্ত্র প্রার্থী জনাব খন্দকার রুহুল আমিন এর প্রার্থিতা বাতিল করার বিষয়ে মাননীয় নির্বাচন কমিশন সদয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। এই অবস্থায় বর্ণিত কারণে Representation of the People Order, 1972 এর Article 91E এর Clause (2) এর বিধান অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৬৮ নোয়াখালী-১ নির্বাচনী এলাকায় আপনার প্রার্থিতা বাতিল করা হলো।

  ভোট এলো, এলো ভোট ;

পত্রিকায় ‘বিজ্ঞাপন’ দিয়ে জরিমানা গুনলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী

‘বিজ্ঞাপন’ দিয়ে জরিমানা গুনলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী

পত্রিকায় বিধিবহির্ভূত বিজ্ঞাপন দেওয়া এবং ফুটপাত দখল করে নির্বাচনী ক্যাম্প করে চট্টগ্রাম-৮ আসনের ফুলকপি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয় কুমার চৌধুরীকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে আচরণবিধি পর্যবেক্ষণকালে জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মঈনুল হোসেন চৌধুরী এ জরিমানা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে ৭টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম-৮ আসনে নির্বাচন আচরণবিধি পর্যবেক্ষণকালে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ফুলকপি) বিজয় কুমার চৌধুরীকে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। কালুরঘাটের কামাল বাজার এলাকায় দৈনিক পত্রিকায় বিধিবহির্ভূত বিজ্ঞাপন দেয়া এবং ফুটপাত দখল করে নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করার এ দণ্ড প্রদান করা হয়।

ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মঈনুল হোসেন চৌধুরী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, প্রার্থী জনপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ ১৯৭২ এর পরিপন্থি কার্যক্রম করে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় এই দণ্ড দেয়া হয়।

  ভোট এলো, এলো ভোট ;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *